আমরা জাতি হিসেবে অকৃতজ্ঞ- আইভী
স্টাফ রিপোর্টার, প্রেসবাংলা২৪.কম:
প্রতিবছরই এই শোক দিবস আমাদের অকৃতজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে দেয়। কীভাবে আমরা আমাদের পিতাকে হত্যা করেছি, সেই কথা মনে করিয়ে দেয় মন্তব্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কে? কেন আমরা জাতীয় শোক দিবস পালন করি তা সকলেই জানেন। নতুন করে কিছু বলার নাই। তবে এটা বলতে চাই যে, আমরা জাতি হিসেবে অকৃতজ্ঞ। যে মানুষটি সারাটা জীবন ব্যয় করলেন বাঙালিদের জন্য, জেল খাটলেন, জীবনের শখ-আহ্লাদ বিসর্জন দিয়েছেন স্বাধীনতার জন্য। বাঙালির মুক্তির জন্য তিনি লড়েছেন। তাকেই কিছু কুলাঙ্গার হত্যা করেছে। শুধু তাকেই নয়, তার পরিবারের অন্য সদস্যদেরও হত্যা করে।’
সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছরই এই শোক দিবস আমাদের অকৃতজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে দেয়। কীভাবে আমরা আমাদের পিতাকে হত্যা করেছি, সেই কথা মনে করিয়ে দেয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মর্মান্তিক, জঘন্য হত্যাকান্ড চালিয়েছিল। ঢাকার মেয়র তাপসের মা অন্তঃসত্ত্বা ছিল, তাকে পেটের বাচ্চাসহ হত্যা করা হয়েছে। ছোট রাসেল কতবার তার মার কাছে যেতে চেয়েছে, তাকেও হত্যা করা হয়েছে। কী মর্মান্তিক ঘটনা ওই রাতে ঘটনা ঘটিয়েছে! সবকিছুকে সহ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার বাংলা ফিরে এসে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’
আইভী বলেন, ‘১৯৮১ সালে উনি যখন ফিরে আসেন তখন তাকে বাড়িতে পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাবা-মার কবরে শ্রদ্ধা জানাতে দেওয়া হয়নি। ৩২ নম্বরে তালা দিয়ে রাখা হয়েছিল। আজকে অনেকে অনেক কিছু বলে, সঠিক ইতিহাস আমাদের জানতে হবে।’
সিটি মেয়র বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু না হলে এইদেশ স্বাধীন হতো না। তাকেই আমরা হত্যা করেছি। আমাদের কৃতজ্ঞতাবোধ থাকলে শেখ মুজিব ও তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু সকলের, তিনি শুধু আওয়ামী লীগের না। বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগ কুক্ষীগত করতে পারবে না। যেমনটা জয় বাংলা স্লোগানকে পারেনি। এইটা আমাদের জাতীয় স্লোগান। যতদিন এই বাংলা থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর নাম থাকবে। বাংলাকে পাকিস্তান বানাবো যাবে না। যারা এইটা করতে চেষ্টা করবে তারাও ধ্বংস হবে।’
জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমান, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাশার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রমুখ।