ধর্ষণের ভিডিও ভাইরালে তরুণীর আত্মহত্যা: ইউপি সদস্য রিমান্ডে

প্রেসবাংলা ২৪. কম: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ফেসবুকে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ায় তরুণীর আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ইউপি সদস্য আব্দুল মমিন ওরফে কচির দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুর রহমানের আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান রিমান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ।এদিকে ওই ঘটনায় ইউপি সদস্যের পর দবির নামে আরও একজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দবির বন্দরের আলীনগরের মৃত আউয়ালের ছেলে এবং আব্দুল মোমেন ওরফে কচি কলাগাছিয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ধর্ষণের মামলার পর মীমাংসা জন্য বসানো সালিশে উপস্থিত ছিলেন এই দুই আসামি।
মামলার আসামিরা হলেন, বন্দর উপজেলার বালিয়াগাঁও এলাকার মৃত জমির খানের ছেলে নুরুল আমিন (৪২), তার স্ত্রী মোসাম্মৎ শ্যামলি (৩৮), কলাগাছিয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল মোমেন ওরফে কচি (৫২), তাওলাদের ছেলে ইব্রাহীম (৪০), আবুল কাশেমের ছেলে পলাশ (৩০), তাওলাদের ছেলে ইসরাফিল (৩৫), আলাউদ্দিনের ছেলে বাবুল (৪৫), আহাম্মদের ছেলে আরমান (৪০), আলীনগর এলাকার মৃত আউয়ালের ছেলে দবির (৪৫)।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় বিচার সালিশ ও ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ায় আত্মহত্যার ঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে নয় জনকে আসামি করে মামলা করেন। এখন পর্যন্ত এজাহারনামীয় আব্দুল মোমেন ওরফে কচি মেম্বার ও দবিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নিহত তরুণীর মা বলেন, থানায় মামলা করায় ধর্ষক নুরুল আমিনের স্ত্রী শ্যামলী বেগম ও একই এলাকার তাওলাদ হোসেনের ছেলে ধর্ষকের ভাগনে ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম রোববার মেয়ের ভিডিও ভাইরাল করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়ে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।