নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিবের প্রত্যাবর্তন
ক্রীড় প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪.কম: আইসিসি’র এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে কাল থেকেই প্রত্যাবর্তন হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। অর্থাৎ আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সব ধরনের ক্রিকেট খেলতে আর বাধা থাকবে না বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের।
জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় গত বছর অক্টোবর মাসে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাকিবকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। এর মধ্যে রয়েছে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার আইন লঙ্ঘনের অপরাধে সাকিবকে এ শাস্তি দেয়া হয়।
এ শাস্তি মেনেও নেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল এই ক্রিকেটার। একদিন পর ক্রিকেটে ফিরলেও ভবিষ্যতে যদি একই ধরনের অপরাধ করেন তা হলে সাকিবের এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে সাকিবকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি। তবে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে তাদের তদন্ত কাজে যথাযথ সহযোগিতা করায় এক বছর স্থগিত করা হয় সাকিবের শাস্তি, ফলে বাকি এক বছর মাঠের বাইরে কাটাতে হয় তাকে। যা শেষ হলো ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর পেরিয়ে ২৯ অক্টোবর আসতেই।
অর্থাৎ এক বছরের শাস্তি ভোগ করে এখন সবধরনের ক্রিকেট খেলার জন্য মুক্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আবার তিনি ২৯ অক্টোবর ২০১৯ তারিখের আগের মতো করেই মিশতে পারেন সবার সঙ্গে, খেলতে পারবেন যেকোনো ধরনের ক্রিকেট।
আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার পর বিসিবিতে সাকিব, ২৯ অক্টোবর ২০১৯
নিষেধাজ্ঞার এ সময়টাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ১৪টি ম্যাচ খেলতে পারেননি সাকিব। যেখানে ছিল ৪ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৭ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই মিস করা ম্যাচের সংখ্যা হতো অন্তত ত্রিশ। তবে করোনাভাইরাসের কারণে বাতিল ও স্থগিত হয়েছে অনেক সিরিজ। ফলে ১৪টির বেশি ম্যাচ মিস করতে হয়নি তাকে।
আর এখন থেকে বাংলাদেশ দল যত ম্যাচ খেলবে, সবগুলোতেই থাকতে পারবেন সাকিব। শুধু আন্তর্জাতিক নয়, যেকোনো ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলতে পারবেন তিনি। যার শুরুটা হয়তো হতে পারে, আগামী মাসের ১৫ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া বিসিবি পরিকল্পিত পাঁচ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে।
বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, এই টুর্নামেন্টে খেলবেন সাকিব। তবে এখনও আসেনি স্কোয়াড বা প্লেয়ার্স ড্রাফটের তালিকা। এখনও পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রেই অবস্থান করছেন সাকিব। কবে দেশে ফিরবেন, এ বিষয়ে নেই কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য।
তবে তিনি যদি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন মাথায় রেখে হয়তো নতুন মাসের ১ তারিখের মধ্যেই দেশে ফিরে আসতে হবে। কেননা এর বেশি দেরি হলে কোয়ারেন্টাইন কাটিয়ে মাঠে ফিরতে আরও সময় লেগে যাবে তার।