প্রতিনিধি আড়াইহাজার, প্রেসবাংলা২৪.কম: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নাবালিকা দশম শ্রেনীর ছাত্রী রেশমা আক্তার(১৫) কে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চষ্টা ও রাজী না হওয়ায় তার স্বজনদের শারীরিক নির্যাতনের কারনে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাগেছে,উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নেরর সখেরগাও এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের নাবালিকা কন্যা পুরিন্দা কে এম সাদেকুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী রেশমা আক্তার ও তার ছোট এক ভাইকে নানী আমিরুন ও মামা কামালের কাছে রেখে মা রিনা বেগম কাজের জন্য লেবানন চলে যায়। এদিকে রেশমা আক্তারকে খালা রুমা আক্তারের নাবালক ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য তার নানী আমিরুন ও দুই খালা রুমা ও পারুল বিয়ে ঠিক করে। তারা দুজনই নাবালক হওয়ায় রেশমা আক্তার বিয়েতে রাজী হচ্ছিল না। রেশমাকে বিয়েতে রাজী করাতে দুই খালা ও নানী রেশমা আক্তারের উপর শরীরিক নির্যাতন চালান।
১০অক্টোবর শনিবার দিন ব্যাপী রেশমা আক্তারের উপর শারীরিক নির্যাতন চালান নানী ও দুই খালা। তারা রেশমা আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ও কেড়ে নেয়। রবিবার(১১ অক্টোবর) ভোররাতে রেশমা আক্তারের শয়ন কক্ষে আড়ার সাথে ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে নানী ও দুই খালা ঘটনাটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু ঘটনাটি ফাঁস হয়ে গেলে আড়াইহাজার থানা পুলিশ খবর পেয়ে রবিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠান। লাশ মর্গে পাঠানোর সময়ও দুই খালা সহ প্রভাবশালী লোকজন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। তবে দুই খালার সাথে কথা বললেও তারা মিডিয়ার সাথে কথা বলেননি।
আড়াইহাজার থানার উপপরিদর্শক পলাশ কান্তি রায় জানান,স্থানীয় একটি যুবকের সাথে রেশমা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানাগেছে। কিন্তু নানী ও খালারা এ সম্পর্ক মেনে না নিয়ে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার জন্য ঠিক করেছিল।
আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান,এ ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় একটি ইউ ডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।