প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪.কম: নগরীর খানপুর রেললাইন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের দাবি, ‘দুই টাকার পত্রিকায় আমাদের বিরুদ্ধে লিখে কিছুই হবেনা। আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই চলি।’
কিছু দিন বিরতির পরে আবারও খানপুর এলাকার রেললাইন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। মহামারী করোনায় গোটা দেশ থমকে দাঁড়ালেও তারা জমজমাট মাদকের হাট বসিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর, তল্লা রেললাইন, বোবার বাড়ি, শিকসন বাড়ি, গফুর মেম্বারের বাড়ি, সর্দারপাড়া ও হাজীগঞ্জসহ আশেপাশের এলাকায় অনেকটা বিনা বাঁধায় চলছে মাদক ব্যবসা। খানপুর ও তল্লা রেললাইন এলাকাটি নারায়ণগঞ্জ সদর ও ফতুল্লা মডেল থানা এলাকার মধ্যবর্তী এলাকা হওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা অনেকটা নিশ্চিন্তে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের খানপুর তল্লা রেললাইনসহ আশেপাশের এলাকায় প্রায় ৫০/৬০ জনের মতো মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। তারা সকল প্রকার মাদক বেঁচা- কেনা করে যাচ্ছে। মজিবরের ছেলে শাহীন, বিকাশ শাকিল, কাইল্যা সুমন, রাকিব, সোহাগ, তরকারী ব্যবসায়ী শাকিল, রবিউলের ছেলে পায়েল, ইয়াবা সম্রাট জনি, মৃত আবুলের পুত্র রাসেল, সাধু মিয়ার পুত্র শাকিল, ফালানের পুত্র আজিম, ছোট শাহ্আলম, আলম, নাছির, নুরু মিয়ার পুত্র রিপন, দেলোয়ার বাবুর্চির পুত্র হৃদয়, রানা ও বাবু, গুড্ডু, সাইদুলের পুত্র ফাঁটা সুমন, মুন্না ও পান্না, ইয়াছিন, জাহাঙ্গীর, জহিরুল, মতি মিয়া, (কবুতরের দোকান) বারেক মিয়ার ছেলে দেলোয়ার, মনিরসহ আরও অনেকে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে এলাকা গুলোতে মাদকসেবী বেড়ে যাওয়াতে চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম বেড়ে গেছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এলাকার সাধারণ জনগণ বলেন, এদের কারণে যুব সমাজ আজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এদিকে শিকসন বাড়ির পাশে রেললাইনের উপরে একটি ঘর ও তাদের আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানেই বসে তারা তাদের মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও সেবন করে থাকে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যদিকে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। এ বিষয়ে কোন ছাড় নেই।