কিশোরী প্রেমিকাকে শীতলক্ষ্যায় নৌকায় ঘুরাতে নিয়ে গণধর্ষণ করে হত্যা, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি

কিশোরী প্রেমিকাকে শীতলক্ষ্যায় নৌকায় ঘুরাতে নিয়ে গণধর্ষণ করে হত্যা, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪.কম; শীতলক্ষা নদীতে নৌকার ভিতর ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীতে। আদালতে ১৬৪ ধারায় লোমহর্ষক ঘটনার জবানবন্দি দিয়েছে হত্যাকারীরা।

রোববার(৯আগষ্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মিল্টন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের পৃথক আদালতে তিন আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।জবান বন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান।আসামিরা হলেন বন্দর উপজেলার বুরুন্ডি খলিলনগরের আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লা(২২) বুরুন্ডি পশ্চিমপাড়ার সামছুদ্দিনের ছেলে রকিব(১৯) ও নৌকার মাঝি খলিল(৩৬)।

পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ৪ জুলাই বিকালে রকিরের ইজিবাইকে ঘোরাঘুরি শেষে ওই কিশোরীকে শহরের পাঁচ নং ঘাট এলাকায় নিয়ে যায় আব্দুল্লাহ। সন্ধ্যায় খলিল মাঝির নৌকা ভাড়া করে নৌকায় কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে। পরে আব্দুল্লাহ ওই নৌকাতেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পালাক্রমে ধর্ষণ করে মাঝি খলিল ও। ধর্ষণের কথা মাকে বলে দিবে বললে মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আব্দুল্লাহ ও খলিল। এরপর লাশ নদীর পানিতে ভাসিয়ে দেয়।

সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল হাই জানান, মামলার পর মেয়ের মায়ের মোবাইলের কললিস্ট চেক করে রকিবের সন্ধান পাই। রকিবের মোবাইল নম্বর দিয়ে আব্দুল্লাহ নিহত কিশোরীর সাথে যোগাযোগ করতো। ঘটনা দিনও সে ওই নাম্বারে কল করে। রকিবকে গ্রেফতারের পর আব্দুল্লাহ ও নৌকার মাঝি খলিলকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীরা নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে। তবে তাদের তথ্য অনুযায়ী কিশোরীর মরদেহ এখনো খুঁজে পাওয়া যায় নি।

উল্লেখ্য গত ৪ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিল জিসা মনি(১৫) নামে ওই কিশোরী। সে দেওভোগ পাক্কা রোড সরকারি প্রাইমারী স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। অনেক খোঁজাখুজির পর মেয়েকে না পেয়ে বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com