আড়াইহাজার প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪.কম: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংষর্ষে আনোয়ার হোসেন(৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছে । আহত হয়েছে আরো ৫জন। ঐ সময় তিনটি বাড়ি লুট করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ৬ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার উচিৎপুরা ইউনিয়নের কাদিরদা এলাকায়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, এলাকার আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত উচিৎপুরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান মেম্বার হানিফ এর সাথে একই এলাকার ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জাফর আলীর বিরোধ চলে আসছিল। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এ ওয়ার্ড থেকে সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে ৫ আগষ্ট বুধবার রাত ৮টার দিকে স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি জাফর আলীর প্রতিবেশী ভাতিজা আবু সুফিয়ান শোডাউন করে এলাকায়। এ নিয়ে রাতে হানিফ মেম্বারের সাথে তাদের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে ওত্তেজনা বিরাজ করছিল।
স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জাফর আলী জানান, ৬আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশে তার বড় ভাই আনোয়ার হোসেন হেটে আসার সময় হানিফ মেম্বার সহ অন্তত ২০/২৫জন লাঠিসোটা,দা ছুরি নিয়ে আনোয়ার হোসেনের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা আনোয়ার হোসেনকে পিটিয়ে ঘটনাস্থলে ফেলে রাখে। ঐ সময় তাকে বাঁচাতে আসলে হামলাকারীরা আমির আলী (৭০), ফাতেমা (৩৫), হারুন (৬০) ও রিয়াজুর (২৫) কে পিটিয়ে আহত করে। পরে তারা জাফর আলী,বাচ্চু ও আলি হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুড় ও লুটপাট চালায়। হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে স্থানীয় লোকজন আহত আনোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হানিফ মেম্বারসহ তার পক্ষের লোকজন এলাকা থেকে সটকে পড়ে। দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) মোশারফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করেন।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম হত্যার ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।