প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪, ৪:১১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ৮, ২০২০, ৩:১৯ অপরাহ্ণ
ভয়ঙ্কর প্রতারক সাহেদ সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৮
প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: রিজেন্ট হাসপাতালে ভুয়া কোভিড-১৯ সনদ ও করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে অনিয়মের অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতার আট জনকে আজ দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। তাদের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
র্যাব-১ এর পরিদর্শক জুলহাস মিয়া গতকাল মঙ্গলবার রাতে উত্তরা (পশ্চিম) থানায় মামলা দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন থানার উপ-পরিদর্শক ইউসুফ আলী।
মামলার আসামিরা হলেন, রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ, রিজেন্ট হাসপাতালের কর্মী তরিকুল ইসলাম, আবদুর রশিদ খান জুয়েল, মো. শিমুল পারভেজ, দীপায়ন বসু, আইটি কর্মকর্তা মাহবুব, সৈকত, পলাশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহসান হাবীব (১), হেলথ টেকনিশিয়ান আহসান হাবীব (২), হেলথ টেকনোলজিস্ট হাতিম আলী, অভ্যর্থনাকারী কামরুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের প্রকল্প প্রশাসক মো. রাকিবুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা অমিত বণিক, রিজেন্ট গ্রুপের গাড়ি চালক আবদুস সালাম ও নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রশিদ খান।
রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ পলাতকদের সম্পর্কে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহা জানান , পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, সোমবার দুপুর ২টা থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল প্রথমে উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ১৭ নম্বর সড়কে অবস্থিত রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। সেখান থেকে আট জনকে আটকের পর র্যাবের দলটি মিরপুরে রিজেন্টের অন্য শাখায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান শেষে সংবাদ সম্মেলনে ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কয়েকটি অনিয়ম ও প্রতারণার প্রমাণ পেয়েছি আমরা। প্রথমত, করোনা টেস্টের জন্য আসা রোগীদের বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহ করার কথা ছিল রিজেন্টের। কিন্তু আমরা দেখলাম তারা প্রায় ১০ হাজার জনের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে, প্রত্যেকের কাছ থেকে তারা টাকা নিয়েছে। দ্বিতীয়ত, এসব নমুনার অর্ধেকের বেশি পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দিয়েছে যা সম্পূর্ণ প্রতারণা।
গতকাল সোমবার রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে। এর মধ্যে ছিল ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া এবং কোভিড-১৯ রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অনিয়ম।
Copyright © 2024 pressbangla. All rights reserved.