বাড়িওয়ালার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি!
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: অস্বাভাবিক যাতায়াতের কারণে ভাড়াটিয়াকে বাসা ছেড়ে দিতে বলায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িওয়ালার মাথায় দেশীয় পিস্তল ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে ভাড়াটিয়ার সহযোগী সন্ত্রাসীরা। এসময় বাড়িওয়ালার স্ত্রী, শ্যালিকা ও শ্বশুর এগিয়ে আসলে তাদের মারধর করে গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়েছে ভাড়াটিয়ার সহযোগী ওই সন্ত্রাসীরা। যদিও পুলিশ বলছে, ঘটনা ভিন্ন।
ঘটনাটি ঘটেছে ৮নং ওয়ার্ডস্থ গোদনাইল ধনকুন্ডা মধুগড় এলাকায়।
মঙ্গলবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় সংঘটিত এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ির মালিক মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা ২৭ মে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ এখনো ওই সন্ত্রাসীদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
অভিযোগে মোফাজ্জল হোসেন উল্লেখ করেন, আমাদের ভাড়াটিয়া বাসায় লকডাউনের পরপর অপরিচিত পুরুষ লোকের আনাগোনা বেড়ে যায়। তারা অধিক রাত্র পর্যন্ত বাসায় অবস্থান করে এবং মাঝে মাঝে পরের দিন সকালে বের হয়ে যায়। এছাড়া উক্ত লোকজন আমাদের বাসার মেয়েদের ছবি তোলার চেষ্টা করে। বিষয়টি আমাদের চোখে অস্বাভাবিক মনে হলে উক্ত লোকজনদেরকে বাসায় আসতে নিষেধ করি এবং ঐ ভাড়াটিয়াকে বাসা ছেড়ে দিতে বলি। গত ২৬ মে মাগরিবের নামাযের পর বাসায় এসে শাহআলম (ভাড়াটিয়া), মেহেদী, রাতিম, রনি, রাসেল, কাজল, ওয়াসীম, হৃদয়, জোলেখা, আখি’সহ ২০/২৫ জন চিৎকার চেচামেচি শুরু করে। আমি ঘর থেকে বাইরে আসলে আমার মাথায় কাজল, ওয়াসীম ও হৃদয় দুটি দেশীয় পিস্তল ঠেকায়। আমার পরিবারের সদস্যরা বেরিয়ে আসলে তাদের মারধর করে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে আমি ঘরে এসে থানায় ফোন করে পুলিশকে জানালে তারা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাড়ির মালিক মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা ২৭ মে রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে অস্ত্রের কথা উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করতে গেলে প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি বলে জানিয়েছেন মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা।
তিনি জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা অস্ত্রের কথা উল্লেখ না করে অভিযোগ লেখাতে বলেন। প্রায় ১ ঘন্টা থানায় বসে থেকে পরে কম্পিউটার দোকান থেকে টাইপ করে লিখিত অভিযোগটি থানায় পেশ করা হয়।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল বলেন, বাড়িওয়ালার শ্যালিকার সাথে ভাড়াটিয়ার এক আত্মীয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে বাড়িওয়ালার শ্যালিকার অন্যত্র বিয়ে হয়। শ্যালিকা বেড়াতে আসলে ভাড়াটিয়ার আত্মীয় কর্তৃক বাড়িওয়ালার শ্যালিকার মোবাইলে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় অস্ত্র প্রদর্শনের কোন ঘটনা ঘটেনি।