জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকায় হতাশ না’গঞ্জবাসী
প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: নারায়ণগঞ্জের জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকায় হতাশ জেলাবাসী। চলমান করোনা সঙ্কটে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে জেলার একজন মাত্র সাংসদ উপস্থিত ছিলেন। জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার মতো কেউ ছিলেন না। উপস্থিত সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীকে ইতোমধ্যে নেয়া পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশংসাসূচক দু’চারটি কথা বলেন।
ক্রমশ অবনতির দিকে যাওয়া করোনা পরিস্থিতিতে এ জেলায় করোনা টেস্ট ল্যাব করার কথা জনপ্রতিনিধিরা দাবি করলেও বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে তা মূলতঃ রাজনৈতিক বক্তব্য তা স্পষ্ট হয়েছে। উপরন্তু নারায়ণগঞ্জের মতো একটি জেলায় পূর্ণাঙ্গ ল্যাব না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। নারায়ণগঞ্জে যাতে দ্রুত পরীক্ষা যেতে পারে সেইজন্য ল্যাব স্থাপনের নির্দেশ দেন প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা আসাটা তো এখন আরও কাছাকাছি হয়ে গেছে। যত দ্রুত এসে সাথে সাথে কাজ করা যায় সেজন্য কিছু লোককে দায়িত্ব দিয়ে দেন যাতে নারায়ণগঞ্জেরটা আগে করে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে নারায়ণগঞ্জে পরীক্ষাগার স্থাপনের মতো উপযোগী কোন প্রতিষ্ঠান এখানে নেই বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জে যাতে দ্রুত পরীক্ষা যেতে পারে সে ব্যবস্থাটা অন্তত নেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা আসাটা তো এখন আরও কাছাকাছি হয়ে গেছে। যত দ্রুত এসে সাথে সাথে কাজ করা যায় সেজন্য কিছু লোককে দায়িত্ব দিয়ে দেন যাতে নারায়ণগঞ্জেরটা আগে করে দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের দাবি, নারায়ণগঞ্জের সবকজন সাংসদ ও মেয়র যদি কনফারেন্সে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোরালো আবেদন জানাতেন তবে একটি পূর্ণাঙ্গ করোনা টেস্ট ল্যাব পেতে পারতো জেলাবাসী। সেই সাথে এ জেলার করোনায় উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্যান্য পদক্ষেপে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশনা ও সহায়তা পাওয়া যেত। নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির প্রতিনিধি ডা. জাহিদুল ইসলাম। এ সময়ের মধ্যে জেলায় তিনজন মারা গেছেন বলেও জানান তিনি। জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগী ২৬৪ জন। তাদের মধ্যে মোট মৃত্যু হলো ১৬ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন ছয়জন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিও আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, [email protected] ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)