প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও কমিটির সদস্যসচিব জেলা সিভিল সার্জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। করোনা ফোকাল পারসন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাও বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম কোয়ারেন্টিনে আছেন বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন এবং জেলা করোনা ফোকাল পারসন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম তাঁরা কেউ বুধবার অফিস করেননি। তবে তাঁদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া গেলেও জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের মুঠোফোন রিসিভ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা। এ ছাড়া জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমও বুধবার অফিসে আসেননি। তাঁর কোয়ারেন্টিনে থাকার বিষয়টি পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
তাঁর কোয়ারেন্টিনে থাকার বিষয় জানতে চাইলে এসপি জায়েদুল আলম বলেন, ‘আমি সুস্থ আছি। আমি কোয়ারেন্টিনে নেই। তবে ডিসি ও সিভিল সার্জন একটু অসুস্থ। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের করোনা সন্দেহ হওয়ায় যেহেতু তাঁর সংস্পর্শে ছিলাম, তাই বাড়িতেই অফিস করছি। আর এই মুহূর্তে আমাদের সবার সামাজিক দূরত্ব মেনে পরিস্থিতি মোকাবিলা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা বলেন, ‘তিনি (ডিসি) কাশিসহ অসুস্থ অনুভব করেছিলেন। এ কারণে ভাবির পরামর্শে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে তিনি এখন সুস্থ আছেন। চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।’
এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ‘আমি আসলে কোয়ারেন্টিনে আছি। বাসায় বসে অফিস করছি। টেলিফোনে নির্দেশ দিচ্ছি।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে করোনাবিষয়ক জেলা ফোকাল পারসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আইসোলেশনে আছি। শরীর ভালো না, অসুস্থ। মুঠোফোনে যতটুকু পারছি চালিয়ে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ মোট ৪৩ জন। তাঁরা আইইডিসিআরের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।