আতঙ্কের নাম কাশীপুরের তাসলিমপট্টি!
ফতুল্লা প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: ফতুল্লার কাশীপুরে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ভয়ঙ্কর এক কিশোর গ্যাং। ওই ইউনিয়নের পশ্চিম দেওভোগ, হাশেমবাগ ও সুচিন্তানগর এলাকায় কিশোর গ্যাং-টি নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। অভিযোগ রয়েছে, দেওভোগের এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী তাসলিমের ছত্রছায়ায় এসব কিশোর গ্যাং দিন দিন বেপরোয়ার হয়ে উঠেছে। সোমবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় ওই গ্যাংয়ের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে প্রতিবাদী যুবক রায়হান।
স্থানীয়রা জানায়, তাসলিমের প্রশয়ে ওই এলাকায় গড়ে উঠা বাহিনীর হাতে একে একে প্রাণ দেয় হৃদয় হাসান বাবু, রকি, শাকিল। প্রথমে এ বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হাসান র্যাবের হাতে ক্রসফায়ারে নিহত হয়। এরপর ওই বাহিনীর হাল ধরে তুহিন। শাকিল হত্যার পরে তুহিনও পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হয়। কিন্তু এরপরও থেমে থাকেনি এ বাহিনীর কর্মকা-। নতুন করে হাল ধরে শাকিল হত্যা মামলার অন্যতম আসামী কামাল। কামালের সহযোগী হিসেবে রয়েছে- ডবিড, মাইকেল, রবিউল সহ আরো দাগী কয়েকজন। তাসলিমপট্টিতে নিজের মায়ের নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন তাসলিম। ওই মাদ্রাসার সামনে বিকালে বসে মাদকের আসর। কিশোর গ্যাংটি ওই মাদ্রাসার আশেপাশেই অবস্থান নেয়। ছিনতাই থেকে শুরু ইভটিজিং কোন অপকর্মই বাদ দেয় না তারা।
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, মূলত: তাসলিমের কারণেই পুরো পশ্চিম দেওভোগ এলাকাটি আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে। সরকারী তোলারাম কলেজের একসময়ের এজিএস পরিচয় দিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে তাসলিম। গড়ে তোলে বিশাল বাহিনী। কিন্তু পরবর্তীতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের কারণে সে চুপসে যায়। ২০০১ সালে তাসলিম শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, অপরাধী যে দলের হোক তাদের ছাড় নেই। ফতুল্লায় কোন কিশোর গ্যাংকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেয়া হবে না।
তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তাসলিমের মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।