জাবি উপাচার্যঃ ঝিনুকের মাঝে মুক্তা!
ড. জেবউননেছা, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: গত ১০ মার্চ, ২০২০ইং তারিখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের রাজধানীর প্রান্তিক নারীদের নিয়ে গবেষণা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হয়। অনুষ্ঠান প্রারম্ভে সঞ্চালক অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনী পড়া শুরু করলেন। এক মিনিট দুই মিনিট তিন মিনিট দেখতে দেখতে দশ মিনিট পেরিয়ে গেল, ফারজানা ইসলামের জীবনী পাঠ করতে করতে। আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনছিলাম। অনুষ্ঠান শেষ করে যখন বাড়ী ফিরছি। তখন ভাবছিলাম, এক দশক ধরে ম্যাডামকে চিনি এবং জানি। কিন্ত উনি এতটা বর্নাঢ্য ক্যারিয়ারের একজন মানুষ তা জানা ছিলনা। সেদিন নতুন করে ফারজানা ইসলাম ম্যাম আমার কাছে আবির্ভূত হলেন। এমন একজন বিদগ্ধ মানুষ অথচ তিনি আপাদমস্তক পুরোটাই প্রচারবিমুখ। প্রচারের দুনিয়ায় তিনি একেবারেই নির্জীব। কিন্তু কেন? উত্তর এলো, ফলবান বৃক্ষ নতই হয়। ভরা কলস বাজে কম।
ম্যাডামের সাথে নানা স্মৃতির এলবাম হাতড়াতে লাগলাম, চোখে ভাসতে থাকল কত স্মৃতি। তিনি উপাচার্য হবার পূর্ব থেকে আমি তাঁর বক্তব্যের একজন ভক্ত। একটি স্মৃতি মনে পড়ছে খুব। হয়ত হাজারো স্মৃতির মাঝে এই স্মৃতিটি ম্যাডাম ভুলে ও যেতে পারেন। কিন্ত আমার মনে আছে। তখন তিনি উপাচার্য নন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন এক সভায় তিনি ও গিয়েছেন, আমিও গিয়েছি। ম্যাডাম চুপচাপ বসা। সেদিন একটি কমিটি গঠিত হচ্ছিল। আমি লক্ষ্য করছিলাম কমিটিতে একজন ও নারী সদস্য অন্তর্ভূূক্ত করা হচ্ছেনা। আমি ম্যামকে বললাম,ম্যাম আপনার নামটা প্রস্তাব করি? ম্যাম আমাকে বললেন,না দরকার নেই। আমি আবার ও বায়না ধরলাম ম্যাম, প্লিজ অনুমতি দিন। পরে ম্যাম নীরব রইলেন। আমি দাঁড়িয়ে বললাম, এই কমিটিতে একজন নারী সদস্যের নাম প্রস্তাব করতে চাই, তিনি অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। উপস্থিত সকলে রাজী হয়ে গেলেন। এই হলো প্রথম স্মৃতি ম্যাডামের সাথে আমার। তাছাড়া আমি তার পূর্ব থেকেই ম্যাডামের গঠনমূলক এবং সুন্দর শব্দচয়নের বক্তব্যের একজন নীরব ভক্ত ছিলাম।
এরপর ম্যাডাম ১০০ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেন। মাঝে মাঝে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা হয়। শুধু সালাম বিনিময়ের সুযোগটা হয়। এর চেয়ে বেশী সুযোগ পাইনি। ২০১৭ সানে লোকপ্রশাসন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ম্যাডামের সাথে বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজের উদ্দেশ্যে মাঝে মাঝে দেখা হয়। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমার সঞ্চালনা করার সুযোগ হয়। আমার প্রতি ম্যাডামের একটিই পরামর্শ, ধীরে ধীরে কথা বলবে এবং শুদ্ধভাবে উপস্থাপনা করবে। মাঝে মাঝে বকুনি ও দেন ছোট ছোট ভুলের জন্য। আমি অবলীলায় বকুনিগুলো আশীর্বাদ হিসেবে নেই। একদিন বলেই ফেললাম, ম্যাম আমাকে শুধু আপনি বকাই দেন। উত্তরে তিনি বলেন, আদর করি তাই বকা দেই, ভালোর জন্য বকা দেই। আমি নীরব থাকি।
২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর তিনি আমাকে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের প্রথম নারী অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন। দায়িত্ব প্রদান করে তিনি একটি কথাই বলেছেন, ‘জেবউননেছা, ক্যাফেটারিয়ার রান্নাঘরটা যেন পরিস্কার থাকে। ঐদিকে খেয়াল রেখো’। আমি প্রতিদিন জাবিতে গিয়ে আগে ক্যাফেটারিয়ার রান্নাঘর পরিদর্শন করি। এরপর অন্য কাজে মনোননিবেশ করি। যাই হউক যে প্রসঙ্গে ছিলাম, সেই প্রসঙ্গে ফিরে আসি।
জাবিতে শিক্ষকতার দশ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে আমার আগামী ১০এপ্রিল, ২০২০ইং। এই এক দশকে ফারজানা ইসলামকে দেখেছি বাঙ্গালীয়ানা সুতী শাড়ী পরিধান করতে,হাতে দুইটা চিকন চুড়ি, কানে দুল ও পরতে দেখিনি বেশী। বিলাসবহুল শাড়ী পরতেই দেখিনি তাকে। বেশ কয়েকদিন আগে জাবির একজন অধ্যাপক আমাকে বলেছিলেন, উপাচার্য ম্যাডামের মাথার চুলের ক্লিপটি সৎ পয়সায় কেনা। সে কথা শুনে ম্যামের প্রতি সম্মান দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছিল। শত ঝড় বৃষ্টিতে আমরা ম্যাডামের শুভাকাঙ্খীরা যখন বিচলিত থাকি তখন ম্যাডামকে পাহাড়ের মতো স্থির থাকতে দেখি। নিরিবিলি ম্যাডাম দিক নির্দেশনা দেন। ম্যাডামের দেয়া দিক নির্দেশনা মেনে চলি।
আমি ব্যক্তিগতভাবে ব্যক্তি ফারজানাকে যতটুকু দেখিছি, তিনি অত্যন্ত নিরাভরন, ভালো শ্রোতা, বিচক্ষণ, সাধারণ, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং একজন ভালো বক্তা। যে মানুষটি জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কযুক্ত, অথচ সেই মানুষটির মধ্যে কোন আস্ফালন আমি দেখতে পাইনি। নিজ চোখে দেখেছি, তার শুভাকাঙ্খী নন অথচ সেই ব্যক্তির সাথে তিনি দরদ দিয়ে কথা বলেন। ব্যক্তি ফারজানাকে আমি কখনও অন্যের অনিষ্ট করতে দেখিনি।
১৯৫৮ সালে জন্ম নেয়া এই মানুষটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ইতিহাসে প্রথম স্নাতক এবং স্নাতকত্তোরে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন আশি দশকে। তার পূবে তিনি ধানমন্ডি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় তিনি প্রথম বিভাগ অর্জন করেন। বর্তমানে সেই বিদ্যালয়ে একটি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ দাড়িয়ে আছে। যে সৌধ দাঁড়ানোর পিছনে ফারজানা ইসলামের অবদান রয়েছে । তিনিই আমাকে প্রথম এই বিদ্যালয়ের ১৯৭১ এর স্মৃতি বয়ান করেন। পরবর্তীতে আমি গবেষণা করে এর সত্যতা খুঁজে পাই।বিষয়টি আমি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অবহিত করি। অতঃপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার উক্ত বিদ্যালয়ে স্মৃতিসৌধ স্থাপন করেন।
আমি লক্ষ্য করেছি ব্যক্তি ফারজানার মধ্যে একটি শিশু বাস করে, যে শিশুটি এখনো ধানমন্ডি বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে দৌড়ঝাপ করে, পদ্মার পানিতে সাঁতার কাটে। এখনো গ্রামের রান্নার প্রতি তার আকর্ষন কাজ করে। মাঝে মাঝে তার স্মৃতিচারণে এমনি লক্ষ্য করেছি। মাঝে মাঝে তিনি বলেন,তোমরা কত ভাগ্যবান দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়াও । অথচ তোমাদের বয়সে আমি এমনভাবে ঘুরার সুযোগ পাইনি। ব্যক্তি ফারজানা একজন মা এবং দাদী । তিনি তার সন্তানকে তার সমস্ত ভালবাসা দিয়ে বড় করে তুলেছেন। এখন পরম মমতা দিয়ে তাঁর নাতনীকে জড়িয়ে রাখেন।
আজ ব্যক্তি ফারজানাকে নিয়ে লেখার একটিই উদ্দেশ্য, কারণ তিনি একজন বিদগ্ধ গবেষক , সংগঠক এবং একজন নিরহংকার মানুষ। একজন নারী হয়ে নারীর জীবন নিয়ে লিখতে আমি দায়িত্ব মনে করেছি । এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ এবং সনাতন সমাজের মধ্যে বাস করে একজন নারী হয়ে নীররে নিভৃতে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন,সেটির একটি মূল্যায়ন করা উচিত আমি তাই মনে করেছি। অপরদিকে, উপাচার্য ফারজানা ম্যাডাম তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অভিভাবক। অভিভাবক হিসেবে তিনি কতটা সফল সে বিষয়টি নিয়ে আর একদিন লিখব। সফল বলেই মহামান্য রাষ্ট্রপতি দ্বিতীয় মেয়াদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
ম্যাডামের কর্মমুখর জীবন দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। আর এই অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে দেবার লক্ষ্যেই হাতে কলম তুলেছি। আমরা দূর থেকে মানুষের জেনে না জেনে অন্যকে অনুসরন করে সমালোচনা করি। অথচ নিজে বিচার বিবেচনা না করে। এই প্রেক্ষিতে একটি স্মৃতিচারণ না করলে আমি নিজেই বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থাকব। কয়দিন আগে ‘বিষন্ন রাত: প্রসঙ্গ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে একটি লেখা লিখি। সেই লেখাটি প্রকাশিত হলে আমার শুভাকাঙ্খী আমাকে বলতেছিলেন, আপনি প্রাক্তন উপাচার্যবৃন্দের নাম আপনার লেখায় লিখলেন,এতে হয়ত ফারজানা ইসলাম ম্যাম আপনার উপর মনোক্ষুন্ন হতে পারেন। আমি বলেছিলাম উপাচার্য মহোদয়ের প্রতি আমার আস্থা আছে। আমার অনুমান সত্যি হয়েছিল। ম্যাম আমাকে বললেন, তোমার লেখাটি পড়েছি, ভীষন সুন্দর হয়েছে লেখাটি। আমি বললাম, আমি একটু উদ্বিগ্ন ছিলাম। ম্যাডাম জানতে চাইলেন, কেন? আমি উত্তর দিলাম, আমি প্রাক্তন উপাচার্য মহোদয়দের কথা লিখেছি এজন্য কিছু মনে করেন কিনা। ম্যাডাম উত্তর দিলেন, প্রাক্তন উপাচার্য আমার একজন সম্মানিত সহকর্মী, উনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক ছিলেন, আমার কাছে উনি সম্মানের। কেন আমি রাগ করব? আমার হালে পানি এলো। একেই বলে যোগ্য অভিভাবক এবং নেতা। যিনি তার অনুসারীদের শেখান, সকলকে শ্রদ্ধা করেই পথ চলতে হবে। যিনি তার অনুসারীদের ধীরে চলো নীতিতে দীক্ষা দেন। সেদিন নতুন করে পুনরায় ম্যাডামের ভক্ত হয়ে গেলাম।
একজন নারী হয়ে তিনি যেভাবে নিজের ক্যারিয়ারকে সাজিয়েছেন এতে আমি তাকে নারী নয় ‘মানুষ’ হিসেবেই বিবেচনা করব। উপাচার্য ফারজানা ইসলাম নারী বলে তার যোগ্যতা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেন। অনেককে বলতে শুনেছি শক্তিশালী ব্যাকগ্রাউন্ড আছে উপাচার্যের। তাই তিনি উপাচার্য হয়েছেন। আমি তাদের সাথে একমত হ্যাঁ,ফারজানা ইসলামের শক্তিশালী ব্যাকগ্রাউন্ড আছে সেটি হলো তার যোগ্যতা এবং আলোকিত ক্যারিয়ার এবং একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবোরের সন্তান। তিনি উপাচার্য হবার পূর্ব থেকে তার পরিবারের সদস্যবৃন্দদেরে সাথে আমার পরিবারের যোগাযোগ ছিল। তখন থেকেই আমি ম্যাডামকে জানি এবং চিনি। যথেষ্ঠ যোগ্যতা ,মেধা এবং তার নিজস্বতা দিয়ে তিনি তার অবস্থানে এসেছেন। যে অবস্থান পাবার তিনি পূর্ণ অধিকার এবং যোগ্যতা রাখেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সঠিক সময়ে সঠিক মুক্তাকে সঠিক স্থানে অধিষ্ঠিত করেছেন। কারণ যে দেশে গুণের সমাদর নেই, সেদেশে গুনী জন্মাতে পারেনা। সরকার একজন গুনীকে সমাদর করেছেন। ফারজানা ইসলাম ঝিনুকের ভিতরে রক্ষিত একটি মূল্যবান মুক্তা । একজন নারী হিসেবে আমি গর্বিত তথাপি একজন মানুষ হিসেবে। অকপটে বলতে পারি ফারজানা ইসলামের বর্নাঢ্য ক্যারিয়ার, যে কোন বর্নাঢ্য পুরুষের ক্যারিয়ারের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। সেজন্য আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই, জানাই কৃতজ্ঞতা। রাষ্ট্র সঠিক মুক্তাকে চিনতে ভুল করেনি।
আমি বরাররই মেধাবী, স্পষ্টভাষী এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সে স্থান থেকে ফারজানা ইসলাম ম্যাম আমার কাছে ভীষণ শ্রদ্ধার-সম্মানের। তাঁর জীবনের পথচলার গল্পে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি । আশি দশকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর এবং পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যের ইউনির্ভাসিটি অব সাসেক্স থেকে পিএইচডি ডিগ্রী যদি ফারজানা ইসলাম অর্জন করতে পারেন। পরবর্তীতে নিজেকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন। এখন তো নিজেকে মেলে ধরার আর ও কত সুযোগ। চেষ্টা থাকলে,অধ্যবসায় থাকলে বাংলার প্রতিটি ঘরের কন্যা সন্তান একজন ফারজানা ইসলাম হয়ে উঠতে পারে। নারীরা এখন অনেক বেশী এগিয়ে। নারীদের কর্মের প্রতি একাগ্রতা, আন্তরিকতা প্রশংসনীয়। শুধু প্রয়োজন অভিভাবকদের সচেতনতা এবং ইচ্ছা।
সুতরাং, নিঃসন্দেহে এ কথা বলতে পারি, ব্যক্তি ফারজানা ইসলাম একজন আলোকিত নারী এবং ভীষণ মেধাবী। সাংস্কৃতিক রাজধানী নামে খ্যাত জাহাঙ্গীরনগর প্রাঙ্গন ভীষণ ভাগ্যবান এমন একজন মূল্যবান মুক্তাকে অভিভাবক হিসেবে পেয়েছে। আমি ভাগ্যবান আমার অভিভাবক ফারজানা ইসলাম, যার দৃঢ়তা, দক্ষতা, সুচিন্তিত মতামতের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা এবং শ্রদ্ধা রয়েছে । প্রচারের এই যুগে নীরবে নিভৃতে মেধাবী মুক্তা ফারজানা ইসলামের সুস্থ এবং দীর্ঘজীবন কামনা করি।
লেখক:
ড. জেবউননেছা
সহযোগী অধ্যাপক
লোকপ্রশাসন বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।