জেএমবি’র ৪ সদস্য গ্রেফতার: না’গঞ্জে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তাদের

 

ফতুল্লা প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: বিপুল পরিমাণ জিহাদী বইসহ নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ৪ এসহার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। র‌্যাব-১১ এর একটি দল শুক্রবার (৬মার্চ) রাতে ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।

 

গ্রেফতারকৃরা হলো-মাশরুর আনোয়ার চৌধুরী ওরফে লোন উলফ ওরফে ট্রুথ সিকার (৩১), মোহাম্মদ কাওসার আলম ওরফে ফরহাদ নূর (২৮), আসিফ ইবতিয়াজ মোহাম্মদ রিবাত (২৭), হাফেজ মো: রাকিবুল ইসলাম (২৫)। এদের মধ্যে হাফেজ রাবিকুলের বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া থানায়। অন্য তিনজনের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারি ও পাঁচলাইশে।

 

শনিবার (৭ মার্চ) দুপুরে র‌্যাব-১১ এর আদমজীস্থ প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে তাদের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল।

 

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়- মাশরুর আনোয়ার চৌধুরী ওরফে লোন উলফ ওরফে ট্রুথ সিকার ২০১৬ সালে জেএমবিতে যোগ দেয়। সে চট্টগ্রামের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে পারচেজ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছে। সেখানে কর্মরত থাকাবস্থায় সে গ্রেফতার হওয়া কাওসার আলম ও হাফেজ রাবিকসহ ৮/১০জনকে জেএমবিতে যোগ দেয়ায়। এর আগে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া ইঞ্জিনিয়ার বুলবুল, জহিরুল ইসলাম পলাশ ও মাসুদ গাজীর সাথে তার সাংগঠনিক যোগাযোগ ছিল। চার মাস আগে সেয চট্টগ্রামের চাকরি ছেড়ে ঢাকায় অপর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে একই পদে চাকুরি নেয়। রাজধানীতে বসেই সে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল।

 

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়-মোহাম্মদ কাওসার আলম ওরফে ফরহাদ নূর চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ও আসিফ ইবতিয়াজ মোহাম্মদ রিবাত একই বিশ^বিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এ- ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে। উভয়ে ঘনিষ্ট বন্ধুও। মাশরুর আনোয়ার চৌধুরীর হাত ধরে ২০১৭ সালে তারা জেএমবিতে যোগ দেয়। এর দু’জন জেএমবির দাওয়াতী শাখায় কাজ করছিল।

 

 

অন্যদিকে হাফেজ রাকিবুল ইসলামের সাথে অন্যদের অনলাইনে পরিচয় হয়। পরে রাকিবুলে বাসায় বসেই তারা নানা পরিকল্পনা করে।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com