সোনারগাঁ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: মেঘনা নদী পরিবেষ্টিত সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকার পার্শ্ববর্তী চর হাজী মৌজায় মেঘনা নদী দখলের অভিযোগ উঠেছে মর্ডান গ্রুপের বিরুদ্ধে। গাছের গুড়ি ও টিনের বেড়া দিয়ে মেঘনার তীরবর্তী প্রায় ৭০ ফিট সরকারী জমি ইতিমধ্যে তারা দখলে নিয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মর্ডান গ্রুপের সব ধরনের কাজ বন্ধ রাখার নিদের্শ দিয়েছেন প্রশাসন।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, মেঘনা নদীর তীরবর্তী চরহাজী মৌজার কয়েশ বিঘা জমিতে অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণ করেছে মর্ডান গ্রুপ। কৃষকদের কাছ থেকে সব জমি না কিনেই তারা জোড় পূর্বক বাঁধ নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। বাঁধ নির্মাণের পর তারা এখানে ড্রেজারের মাধ্যমে বালি ভরাট করবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া তারা সেখানে মেঘনা নদী দখল করে গাছের গুড়ি ও টিনের বেড়া দিয়ে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই জেটি নির্মান করছেন।
সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সোনারগাঁ ভুমি অফিসের কানোনগো ফয়জুর রহমানসহ এসিল্যান্ড অফিসের সঙ্গীয় টিম নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মর্ডান গ্রুপের নদী দখলের সত্যতা পেয়ে তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নিদের্শ দিয়েছেন।
সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুন জানান, নদী দখলের ব্যাপারে আমরা বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছি। আপাতত মর্ডান গ্রুপের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাইয়ের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের সমন্বয় কর্মকর্তা মোঃ সেলিম শেখ বলেন, নদীর মধ্যে কোন কিছু করার পার্মিশন বিআইডব্লিউটিএ তো দেয়ই না, অন্য কোন সংস্থারও দেয়ার এখতিয়ার নেই। বিআইডব্লিউটিএ যদি পার্মিশন দেয় তখন উল্লেখ করে দেয়, নদীর জায়গায় এক ইঞ্চিও ঢোকা যাবেনা। শিল্প কারখানার ক্ষেত্রে নিজস্ব জমিতে করতে পারবে। নদীর জায়গা কেউ দখল করলে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মাসুদ কামাল বলেন, এবিষয়ে আমি এখন বলতে পারছিনা। লিষ্ট দেখে বলতে পারবো। তবে নদী দখলের কোন প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মডার্ন গ্রুপের চেয়ারম্যান মুসতাক আহমেদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা মেঘনার তীরে জেটি করার জন্য বিআইডব্লিউটিএর কাছে আবেদন করেছি। এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন না পেয়েই মেঘনা নদীতে বিশালাকার জেটি নির্মাণ করছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরে কথা বলবো।