নগর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের পায়তারা ও হুমকির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হাসনাত জাহান রুনু নামে এক বিধবা নারী। তার দাবি, স্বামী মজিবুর রহমান সোহেলের মৃত্যুর পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তল্লা এলাকায় অবস্থিত এআর নীট কম্পোজিট নামে ডাইং ফ্যাক্টরিটি দ্বিতীয় ব্যক্তির কাছে ভাড়া দিলেও প্রথম ভাড়াটিয়া এটি দখল করার পায়তারা করছেন। এ সংক্রান্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করেও নানা হুমকি-ধমকির কারণে সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন তিনি।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের হানিফ খান মিলনায়তনে চার সন্তানকে সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
এদিকে তার পূর্বে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন এআর নীট কম্পোজিট কারখানাটির ভাড়াটিয়া শাহনাজ পারভীন ও তার ভাই। তারা অভিযোগ করেন, বৈধ চুক্তি থাকা সত্ত্বেও কারখানাটি দ্বিতীয় পক্ষকে (জাহেদুর ইসলাম জনি) ভাড়া দিয়ে দেন। ওই পক্ষ জোর করে কারখানাটি দখল করে রেখেছেন।
তাদের আরও অভিযোগ, জাহিদুল ইসলাম জনি যাকে এলাকার সবাই মোল্লা জনি নামেই চিনে। সারাহ বেগম কবরী সাংসদ থাকাকালে সে কবরীর প্রভাবে এলাকায় ত্রাসে রাজত্ব কায়েম করে। এলাকায় ভূমিদস্যুতা, মাদক ব্যবসা ও ঝুটের ব্যবসার নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠে। প্রথম ভাড়াটিয়া মামলায় জেলে থাকার সুযোগে জনি কৌশলে বিধবা নারীকে দিয়ে কারখানাটি দখলে উঠে-পড়ে লেগেছেন।
তবে কারখানার মালিক হাসনাত জাহান রুনু সংবাদ সম্মেলনে জানান, সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার কুতুবআইল এলাকায় এ আর নীট কম্পোজিট নামে একটি ডাইং কারখানা রয়েছে তার স্বামী মৃত মজিবুর রহমান সোহেলের নামে। মৃত্যুর পূর্বে তিনি তার কারখানাটি শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চুর (শাহনাজ পারভীনের স্বামী) কাছে ভাড়া দেয়ার জন্য প্রাথমিক চুক্তি করেন। পরে চূড়ান্ত চুক্তির জন্য বললে তিনি কালক্ষেপন করেন। এদিকে মাসিক ভাড়া দেয়া বন্ধ করে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া পরিশোধ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ভাড়া চাইতে গেলে ভাড়াটিয়া বাচ্চু সোহেলকে মারধরও করে। এ ঘটনার কয়েকদিন পর হুমকির ভয়ে ও মানসিক যন্ত্রনায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মজিবুর রহমান সোহেল মারা যান।
নিহত সোহেলের বিধবা স্ত্রী কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর আর্থিক সংকটের কারণে হাসনাত জাহান রুনু ভাড়াটিয়া বাচ্চুকে বাদ দিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম জনির কাছে কারখানাটি নতুন করে ভাড়া দেন।