রুদ্র প্রকাশ, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে যানজট স্থায়ী রূপ নিচ্ছে। প্রায় একমাস ধরে এ সড়কে প্রতিদিন দীর্ঘ যানজটে শত শত যানবাহন আটকে কয়েক কিলোমিটার ব্যাপী যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রী এমনকি পথচারীরাও চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।

সরেজমিন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের ফতুল্লা-পঞ্চবটি-বিসিক শিল্প এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

বুড়িগঙ্গা-শীতলক্ষা-তুরাগ ও বালু নদীর পাশ দিয়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের পাশাপাশি ওই সড়কের একপাশ দিয়ে চলছে মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎলাইন নেয়ার কাজ। সড়কের একপাশ কেটে ফেলায় একপাশ দিয়ে চলছে যানবাহন।

বিসিক শিল্প এলাকার কয়েকজন গার্মেন্ট মালিক জানান, দীর্ঘ যানজটের কারণে সময়মতো তাদের মালামাল ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ করতে পারছে না। এমনকি সময়মতো ডেলিভারী দেওয়াও হচ্ছে না। ফলে তারা আর্থিক লোকসানের মুখে পড়ছেন।

ওই সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী কয়েকজন ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার চালক অভিযোগ করেন, দীর্ঘ এই যানজটের কারণে তাদের প্রতিদিনের আয়ও কমে গেছে। একবার এই সড়কে ঢুকলে বের হতে কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে যাচ্ছে।

তাদের অভিযোগ, যানজট রক্ষায় পুলিশের কোন ভূমিকাই নেই। তারা শুধু অটোরিক্সা ও অন্যান্য যানবাহন থেকে বখরা আদায়ে ব্যস্ত থাকেন।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কাশীপুর ভোলাইল এলাকায় আটকে থাকা একটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাক চালকের সাথে কথা হয়। আব্দুল করিম নামের ওই চালক বলেন, সৈয়দপুর ক্রাউন সিমেন্ট এলাকা থেকে সকালে বের হয়েছেন। ৪ ঘণ্টায় মাত্র ভোলাইল এসে পৌছেছেন। ঢাকা পৌছাতে কত সময় লাগবে তা অনিশ্চিত। যানজটের অবস্থা দেখে তিনি গাড়ী সড়কে রেখেই দুপুরের খাবার সেরে নিয়েছেন বলে জানান।

আব্দুল করিম আরও জানান, বিকালের পরে যানজট আরও তীব্র হয়। এই বিষয়টি মাথায় রেখে সকাল সকাল বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তা-ও রক্ষা হলো না।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি আমাদের একটি টিম কাজ করছে। যানবাহনের তুলনায় সড়কটি এমনিতেই সরু, তার উপর সড়কের একপাশ কেটে ফেলায় যানজট আরও বেড়েছে।

এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) তাসলিম মোল্লা বলেন, ওই সড়কে যানজট নিরসনে আমাদের পুলিশ সদস্যরা দিনরাত কাজ করছে। এমনকি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে রাতেও অতিরিক্ত একটি টিম রয়েছে।

যানজট নিরসনের নামে যানবাহন থেকে চাঁদা তোলার বিষয়ে তিনি বলেন, এ ধরণের অভিযোগ আমি পাইনি। যদি কেউ করে থাকে এমন প্রমাণ পাওয়া যায় অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।