সোনারগাঁ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: সোনারগাঁয়ের কুতুবপুর এলাকায় অবস্থিত এম. কে ফুডস্ ও এম.এম কনজুমার নামে ২টি কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে অননুমোদিত যৌন উত্তেজক লায়ন ফুড শরবত এবং ভেজাল কয়েল তৈরির অপরাধে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সদস্যরা।
এ সময় ২টি কারখানা হতে আনুমানিক ৭ হাজার ৩শ’ বোতল অননুমোদিত যৌন উত্তেজক শরবত ও বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন ব্রান্ডের কয়েল এবং পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ১টি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
ওইদিন বিকেলে র্যাব-১১’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসিম উদ্দীন চোধুরীর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ সুমন মোল্লা (১৯), মোঃ রকিবুল ইসলাম (২২), মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ (১৯), মোঃ রাজু বেপারী (২৪), মোঃ খায়রুল আলম (৪৭), মোঃ হাবু বেপারী (৫০), মোঃ রাকিব হোসাইন (২৪), মোঃ আব্দুর রহমান (২৭), মোঃ আশরাফুল ইসলাম (২৫), মোঃ তাহমীদ ইসলাম (২৩), মোঃ আনোয়ার হোসেন(২২) এবং মোঃ রাশেদ গাজী (২৩)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১১’র ওই কর্মকর্তা আরো জানান, উক্ত কারখানা ২টি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে অননুমোদিত যৌন উত্তেজক শরবত এবং ভেজাল কয়েল উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। এম.এম কনজুমার দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে জাম্বু, গাংচিল, ইগলু, ম্যাক্স, নাইট মাস্টার ইত্যাদি বিভিন্ন খ্যাতিসম্পন্ন ব্রান্ডের নামে কয়েল তৈরি ও পাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করে আসছে।
এম.কে ফুডস্ এর উৎপাদনকৃত যৌন উত্তেজক লায়ন ফুডস শরবতগুলো প্যারাসিটামল পাউডার, টেস্টি সল্ট, স্যাগারিন, এমপিএস, ব্যাফেন, এসএস পাউডার, সোডিয়াম পাউডার, সাইট্রিক এসিড, ঘাম, ঘন চিনি, সাধারণ চিনি, ফ্লেভার ও রং সহ মোট ১৬টি ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই অননুমোদিত ভেজাল কয়েল ও যৌন উত্তেজক শরবত উৎপাদন করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছে বলে গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।
এভাবে কারখানা ২টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে যৌন উত্তেজক শরবত এবং ভেজাল কয়েল উৎপাদন করে জনস্বাস্থ্যের ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছে। তিতাস গ্যাস কোম্পানীর টেকনিশিয়ানের প্রাক্কলনে দেখা যায় কারখানা ২টি দীর্ঘদিন ধরে প্রতি মাসে ৩০ লাখ ২৪ হাজার টাকার গ্যাস চুরি করে আসছে। পরবর্তীতে তিতাস গ্যাস কোম্পানী কর্তৃপক্ষ উক্ত কারখানাগুলোর অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রকিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।