ড্যান্সবারে নারী পাচার চক্রের ৮ সদস্য পাকড়াও
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: বিদেশে ড্যান্সবারে নারীপাচারকারী চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রোববার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর, কেরানীগঞ্জ ও মুগদা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে দুইজন তরুণীকেও উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১ এর প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-ঢাকার কাকরাইলের ধানসিড়ি ট্রাভেল এজেন্সির মালিক লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জের শাহাবুদ্দিন (৩৭), তরুণী সংগ্রহকারী এজেন্ট নোয়াখালীর সেনবাগের হৃদয় আহম্মেদ ওরফে কুদ্দুস (৩৭), চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের মামুন (২৪), মাদারীপুরের কালকিনি এলাকার স্বপন হোসেন (২০), চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের শিপন (২২), মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এলাকার রিজভী হোসেন ওরফে অপু (২৭), পটুয়াখালীর বাউফলের মুসা ওরফে জীবন (২৮) ও চাঁদপুরের মতলবের শিল্পী আক্তার (২৭)।
তাদের কাছ থেকে ৩৯টি পাসপোর্ট, পাসপোর্টের ৬৬ টি ফটোকপি, ১৮টি বিমানের টিকেট, ভিসার ৩৬ টি ফটোকপি, ১টি সিপিউ, ১৯টি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।
র্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন পিপিএম (বার)|
সংবাদ সম্মেলনে জানানে হয়-২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বরের পর বিদেশের ড্যান্সবারে নারীপাচারকারী দলের আন্তর্জাতিক সদস্যদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালায় র্যাব-১১। অভিযানে ওই চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা একটি সংঘবদ্ধ আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তারা ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী সুন্দরী তরুণীদের বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ডান্সবারে ড্যান্স ও অসামাজিক কার্যকলাপের উদ্দেশ্যে পাচার করে। পাচারকৃত নারীদের হোটেলেই বন্ধি করে রাখা হতো। প্রাথমিক অবস্থায় তরুণীরা এ সকল আসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে রাজি না হলে বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য দিয়ে তাদের এ কাজে বাধ্য করা হতো।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর রূগঞ্জের তারাব এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাচারকারী চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে ৪জন তরুণীকে উদ্ধারও করা হয়। সেসময় তাদের কাছ থেকে ৭০টি পাসপোর্ট, নগদ ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, ২০০টি পাসপোর্টের ফটোকপি, ৫০টি বিমান টিকেট, ৫০টি টুরিস্ট ভিসার ফটোকপি, ১টি সিপিইউ, ১টি মনিটর ও ১টি অত্যাধুনিক বিলাসবহুল মাইক্রোবাস জব্দ করেছিল।