না’গঞ্জে ১২ মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল
নগর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: নারায়ণগঞ্জ জেলার ১২ জন মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও সনদ বাতিল হতে যাচ্ছে। ‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন’-এমন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০০২ (২০০২ সালের ৮ নম্বর আইন) এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী তাদের নামে প্রকাশিত গেজেট ও সনদ বাতিল করা হবে। অচিরেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পরই তাদের সরকারি সুযোগ-সুবিধাও বন্ধ হয়ে যাবে।
গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সরকারি প্রতিষ্ঠান জামুকার (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) ৬৬তম অনুষ্ঠিত সভায় দেশের মোট ৮৬ জন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও সনদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও জামুকার চেয়ারম্যান আ ক ম মোজাম্মেল হক।
জেলার যে ১২ জন মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও সনদ বাতিল হতে যাচ্ছে তারা হলেন- বন্দর উপজেলার শুভকরদী এলাকার আবুল কালাম (গেজেট নম্বর- ১৬২৮), স্বল্পেরচক এলাকার আবদুর রহমান (৩৯৬), মদনগঞ্জ লক্ষারচর এলাকার আলী হোসেন (৪০৪), ১২৭ জি.এ রোড এলাকার মো. লিয়াকত আলী (৪৩০), ২৪ এম ঘোষাল রোড এলাকার মো. শাহাবদ্দীন (৪১১), সবাদী এলাকার মো. আলী (৩৮০), নবীগঞ্জ এলাকার আব্দুল বাতেন (৪২৮), সোনারগাঁ উপজেলার মো. ইছকা মিয়া (৬৫৩), অর্জুন্দী এলাকার নূর মোহাম্মদ মোল্লা (৯৩১), আমিনপুর বসুরবাগ এলাকার গিয়াসউদ্দিন (১৫৩২), সনমান্দী ইউনিয়নের চরভুলুয়া এলাকার খন্দকার আবু জাফর (১৫২১) ও মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের নগর সাদীপুর এলাকার মো. কামাল হোসেন (১৫৯৪)।
এদের মধ্যে সোনারগাঁয়ের খন্দকার আবু জাফর সোনারগাঁ থানা বিএনপি সভাপতি। বন্দরের লিয়াকত আলী জাতীয় শ্রমিকলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের ভাই।
জানা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন’-বলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জামুকায় লিখিত অভিযোগ আসে। এসব অভিযোগ তদন্ত করে শুনানি গ্রহণ করেন জামুকার চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী স্বয়ং। জামুকার সুপারিশের ভিত্তিতে গেজেট ও সনদ বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির পরই তাদের সরকারি সুযোগ-সুবিধাও বন্ধ হয়ে যাবে।