নগর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: নগরীর খানপুর এলাকায় দুই তরুণ-তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান আমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) রাতে দুই পরিবারের সম্মতিতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী দুই তরুণ-তরুণীর মধ্যে বিয়ে দিতে চাইলে সদর থানা পুলিশের এক এসআই বাধা দেয় এবং ওই তরুণ-তরুণীকে সবার সামনে মারধর করে। এ ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি একটা ভুল বোঝাবুঝির হলেও আমরা এ্যাকশন নিয়েছি। ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজড করা হয়েছে।
জানা যায়, নগরীর খানপুর ব্যাংক কলোনী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীরের ছেলে রফিক ও স্থানীয় এক হিন্দু মেয়ের মধ্যকার প্রেম ছিল। সম্প্রতি তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তাঁরা বিয়ে করতে চায় এবং কোর্ট থেকে নিজেদের ইচ্ছায় অনুমতি নিয়ে আসে। এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটি দুই পরিবারকে একত্রিত করে এবং তাদের মতামত জানতে চায়। এসময় দুই পরিবারের সদস্যরাই রাজি হয়। এদিকে রোববার রাত ৯টায় সদর মডেল থানার এসআই আমিনুর রহমান আমানের নেতৃত্বে ৩ জন সাদা পোশাকের কনস্টেবল ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে ছেলে-মেয়েকে খুঁজতে থাকে এবং কারা তাঁদের বিয়ে দিতে চায় তাঁদেরকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে পঞ্চায়েত কমিটি বলে যে আমরা বিয়ে দেই নাই ওরাই কোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছে। পরবর্তিতে পুলিশের সদস্যরা ছেলে মেয়ে দুইজনের হাত পেছনে দিয়ে হাতকড়া লাগিয়ে রাস্তার উপর মারতে মারতে নিয়ে যেতে থাকে। রাস্তার উপর ছেলে মেয়েকে মারতে দেখে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁদেরকে আটকে একটি দোকানের ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল গিয়ে আটকে রাখা পুলিশ সদস্যদেরকে ছাড়িয়ে যায়।