৪০ লাখে আপোষ না হওয়ায় দফায় দফায় সাজানো নাটক!

 

সোনারগাঁ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নে মাহবুব নামের এক যুবকের নিহতের ঘটনায় মামলায় প্রতিপক্ষকে ৪০ লাখ টাকায় আপোষের প্রস্তাব দেয় একসময়ের বিএনপি ক্যাডার আবুল হাসেম রতন। কিন্তু প্রতিপক্ষ ইসহাক আহমেদ গং তার এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দফায় দফায় সাজানো হামলার ঘটনা দেখিয়ে থানায় মামলা করা হচ্ছে। একের পর এক মামলায় ওই ইউনিয়নের টেমদি গ্রাম মূলত: এখন পুরুষশূন্য। তাছাড়া মাহবুব হত্যা মামলায় বিনাকারণে আসামী হওয়া ইসহাক আহমেদ এখনও জামিন পাননি। কিন্তু ইসহাক আহমেদ ও অন্যদের নামে হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ত করে থানায় একের পর এক মামলা দেয়া হচ্ছে।

 

ইসহাক আহমেদের অভিযোগ, এমনিতেই আমি সোনারগাঁয় থাকি না। এছাড়া মাহবুব হত্যা মামলায় সম্পুরক অভিযোগপত্রে আমার নাম আসায় আমি ফেরারী। সুতরাং সোনারগায় কোন ঘটনায় আমরা সম্পৃক্ততা যে সাজানো তা একজন নাবালকও বুঝবে, কিন্তু পুলিশ কেন তা বোঝে না তা আমার বোধগম্য হয় না।

 

ইসহাক আহমেদের দাবি, মাহবুব নিহতের ঘটনায় মামলায় পুলিশকে ব্যবহার করে তার নাম পরবর্তীতে যুক্ত করা হয়। আর এই বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে রতন এ মামলাটি মিমাংসার জন্য তার কাছে ৪০ লাখ টাকা দাবি করে। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরবর্তীতে দু’তিনটি ঘটনায় তাকে সাজানো হামলার ঘটনায় আসামী করা হয়।

 

তিনি দাবি করেন, এসব মামলায় তাকে সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্য হচ্ছে আপোষে বাধ্য করা। এবং দাবিকৃত ওই টাকা হাতিয়ে নেয়া।

 

ইসহাকের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশকে ম্যানেজ করে একের এক সাজানো ঘটনায় তাদের আসামী করে থানায় মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবিক এসব ঘটনায় এ পরিবারের কারো সম্পৃক্ততা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারো মামলার পর থেকে এ পরিবারের কেউ সোনারগাঁয় নেই। তাছাড়া ইসহাক আহমেদ মিথ্যা মামলায় ফেরারী। মঙ্গলবার টেমদি গ্রামের প্রবাসী হালিম মিয়ার বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা দেখিয়ে তাকেও আসামী করে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

 

তাদের দাবি, মূলত: রতন বাহিনীর মূল টার্গেট ইসহাক আহমেদ। মামলা দিয়ে তাকে রতন বাহিনীর প্রস্তাবে রাজি করানোই উদ্দেশ্য।

 

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, এটা দু’পক্ষের পুরোনো বিরোধ। ফলে অভিযোগটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ যাই আসুক, সঠিক ঘটনা উদঘাটনে কাজ করবে পুলিশ। মাহবুব হত্যা মামলায় আপোষে রাজি না হওয়ায় একের পর এক ঘটনা সাজানো হচ্ছে-ইসহাক আহমেদের এমন দাবি প্রসঙ্গে ওসি বলেন, আপোষের প্রস্তাবের বিষয়টি আমিও শুনেছি। তবে পুলিশ অবশ্যই নিরপেক্ষ থাকবে।

 

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আবুল হাসেম রতনের মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com