সোনারগাঁয় সেই রতন বাহিনীর বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাঙচুর ও খাসি চুরির অভিযোগ

সোনারগাঁ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: সোনারগাঁয় এবার দূর্ধর্ষ রতন বাহিনীর বিরুদ্ধে বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, কৃষিজমিতে ফসল কাটকে বাধা ও প্রকাশ্য খাসি চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলায় ২৫জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০-১২জনকে আসামী করা হয়েছে। এরা প্রত্যেকে আবুল হাসেম রতন বাহিনীর সদস্য।
উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের টেমদি এলাকার নূর ইসলামের ছেলে আতাউর রহমান বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় শুক্রবার অভিযোগ করেন।
অভিযোগে আসামী করা হয়েছে- সোনারগাঁ থানার সনমান্দি ইউনিয়নের মামুরদি এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে সাইফুল (৩৮), টেমদি এলাকার মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে মতিন সরকার (৫৫), মৃত মিয়া জানের ছেলে লায়েস (৫৫), শফিকুল (৩৫), আব্দুল মতিনের ছেলে দিলবর (৩২), আব্দুর রশিদের ছেলে মনির (৪২), আলম (৪০), মনিরের ছেলে রিজভী (২৫), আব্দুল লতিফ সরকারের ছেলে মামুন (৪৩), আল আমিন (২৮), মাসুদ (৩০), লায়েসের ছেলে ছগির (২৪), হরিহরদি এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে জুয়েল (২৫), লেদামদি এলাকার শাহ আলমের ছেলে তাহসিন (৩২), তানভী র (২৬), আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল নূর (১৭), মৃত আকবর আলীর ছেলে আলাউদ্দিন (৪৬), হরিহরদি এলাকার টুকুনের ছেলে বায়েজিদ (২৪) ও একই এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে জুয়েল (২৫)। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০/১২জনকে আসামী করা হয়।
মামলায় আতাউর রহমান উল্লেখ করেন-প্রতিপক্ষ রতন বাহিনীর সাথে তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে উল্লেখিত আসামীরা তাদর বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা-ভাঙচুর করে। এমনকি তাদের নিজেদের কৃষিজমিতে প্রবেশ করতে গেলে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বাধা দেয়। জমিতে প্রবেশ করলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি-ধামকি দেয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন-গত ১১ নভেম্বরর রামদা-চাপাতি, বল্লম, টেটাঁ লোহার রড সহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বাড়িতে কাউকে না পেয়ে একটি খাসি লুট করে নিয়ে যায়।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন উল্লেখিত আসামীরা রামদা-চাপাতি, বল্লম, টেটাঁ লোহার রড সহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়ির আশপাশে বিভিন্ন সময় মহড়া দেয়। এতে একটি ভীতিকর অবস্থা অন্যদিকে তাদের জানমালের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রয়োজনে মামলা নথিভুক্ত হবে।
প্রসঙ্গত উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হালে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসেম রতন ক্ষমতা ও অর্থের প্রভাবে এলাকায় সন্ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করেছে। প্রতিপক্ষকে তার বাহিনীর নির্যাতনের কথা ওই এলাকার সবার জানা। কিন্তু প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যক্তি ও রাজনীতিককে ম্যানেজ করে সে ওই এলাকার অপরাধ-সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।