বক্তাবলীতে রহিম হাজীর ইটভাটায় ফের লুটপাট, পুুলিশ নীরব!
ফতুল্লা প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: ওসির আশ্বাসেও নিশ্চিন্ত হতে পারছে না ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকার রহিম হাজীর পরিবার। একদিকে পুলিশের পক্ষপাতমূলক মামলায় কারাগারে অন্তরীণ অন্যদিকে সামেদ হাজীর লোকজনের ইটভাটা দখল ও লুটপাটে দিশেহারা এ পরিবারটি। মামলাকে পুঁজি করে রহিম হাজীর ইটভাটা দখলের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সামেদ হাজীর লোকজন বৃহস্পতিবারও (২১ নভেম্বর) ইটভাটায় লুটপাট চালায়। ইট তৈরির মেশিনপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
ওসি বলছেন, মামলার অজুহাতে কারো সম্পদ লুট করতে দেয়া হবে না। পুলিশ সর্বক্ষণ তাদের পাহারায় রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এর কোন প্রমাণ পাচ্ছে না স্থানীয়রা। গত ১৮ নভেম্বরের সংর্ঘর্ষের ঘটনার পরে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব ও পুলিশের প্রত্যক্ষ মদদে বক্তাবলীর আকবরনগরের ওই ইটভাটাটি থেকে শ্রমিকদের মারধর করে বের করে দিয়েছে সামেদ হাজীর লোকজন।
রহিম হাজীর পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ সামেদ হাজীর পক্ষ নিয়ে নিজেরাই বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। দুই পক্ষ সংর্ঘষে জড়ালেও সামেদ হাজী গ্রুপের লোকজনের কারো নাম নেই। এমনকি ওই পক্ষের কাউকেই আটক করা হয়নি।
এদিকে মামলায় গ্রেফতারের পর পুলিশি আতঙ্কে পরিবারের লোকজন এলাকা ছাড়া হবার সুবাদে রহিম হাজীর ইটভাটাটি দখল করে নেয়ার পাঁয়তারা করছে সামেদ হাজী। সোমবার ঘটনার দিনেই সন্ধ্যায় ইটভাটার শ্রমিকদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়েছে। এমনকি রাতেই ওই ইটভাটায় অবস্থান নেয় সামেদ হাজীর লোকজন।
নিউ ন্যাশনাল ব্রিক নামের ওই ইটভাটার ম্যানেজার টারজান জানান, বৃহস্পতিবার আবারও সামেদ হাজীর লোকজন ইটভাটায় লুটপাট চালায়। এর আগে বুধবার দুপুরে তিনজন শ্রমিক ইটভাটায় প্রবেশ করার পরে তাদের মেরে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরে তাদের অস্ত্র দেখিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।
রহিম হাজী পুত্র কবির হোসেন জানান, মারামারিতে দুই পক্ষ জড়ালেও পুলিশ আমাদেরকে আসামী করেছে। এমনটি ইটভাটায় ডেকে নিয়ে আমার বাবাকে এ মামলায় আসামী করা হয়েছে। কবির হোসেনের অভিযোগ, ইটভাটাটির নামে ব্যাংকলোন রয়েছে। শীতকালই ইটের মৌসুম। এ মৌসুমে যদি খোলাটি বন্ধ থাকে তবে কমপক্ষে অর্ধকোটি টাকা লোকসান গুণতে হবে। কিন্তু ইটভাটায় আমাদের শ্রমিকরা ঢুকতেই পারছে না। ইটভাটাটি সামেদ হাজীর লোকজন দখল করে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ যেন দেখেও না দেখার ভান করছে।
তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, অন্যায়ভাবে কেউ কারো সম্পদ দখল করতে পারবে না। এটা তো হতে পারে না। যদি সামেদ হাজী গং এসব কাজ করার অভিযোগ পাওয়া যায় তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ওই এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ রয়েছে। তারা চাইলে তাদের সাহায্যও নিতে পারে।