মামা বিএনপি ভাগিনা আ’লীগ, দুই দলেই ক্ষোভ
ফতুল্লা প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: মামা বিএনপির সভাপতি ভাগিনা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের হবু সভাপতি। ভাগিনা আবারও ইউপি সদস্যও। ফলে মামা-ভাগিনার দখলে যাচ্ছে বক্তাবলীর ৯নং ওয়ার্ডটি। পারিবারিক বৃত্তে দু’টি বড় দলের নেতৃত্ব চলে যাওয়ায় উভয় শিবিরে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তৃণমূলের দাবি, আন্দোলন সংগ্রামে দলের দু:সময়ে রক্ত-ঘাম ঝরালেও দলের পদ-পদবী মিলে না। কিন্তু অর্থের জোরে সহজেই কেউ কেউ বাগিয়ে নিচ্ছেন পদ। শুধু পদ নয়, দলের ভেতরে পরিবারকরণও হচ্ছে। ফলে ত্যাগীরা একদিকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি পরিবারে আবদ্ধ হওয়ায় রাজনীতিতেও প্রভাব পড়ছে।
স্থানীয়রা জানায়, মামা মাহমুদ আলী বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি। ভাগিনা আমজাদ হোসেন বাঁধন একই ওয়ার্ডের সম্ভাব্য সভাপতি ও ইউপি সদস্য।
স্থানীয় একজন বিএনপি নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে আমাদের নির্যাতন করে আসছে। হামলা-মামলায় আমরা ঘরে থাকতে পারি না। কিন্তু এই ওয়ার্ডের সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতার মামা হওয়ায় তিনি দিব্যি ঘুরে বেড়ান। আবার হয়তো বিএনপি ক্ষমতায় এলে মামার জোরে এই আমজাদ মেম্বারও ঘুরে বেড়াবেন। আমরা যারা দলের আদর্শের উপর ভর করে রাজনীতি করি, তারা উভয় সঙ্কটে আছি।
অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, মামা ভাগিনার এই রাজনীতি আমাদের দলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। শুনেছি, এই মেম্বার (আমজাদ হোসেন) বিএনপির একজনকে আওয়ামী লীগের কার্ডও দিয়েছে। অথচ এই বিএনপি নেতারা একসময় আমাদের উপর নানা জুলুম নির্যাতন করেছে। ব্যক্তি ও পরিবাররে কাছে এভাবে রাজনীতি ইজারা দিয়ে দিলে একসময় ত্যাগী ও পরীক্ষিতরা পিছু হটবে।
আমজাদ হোসেন বাঁধন প্রেসবাংলা২৪ডটকম-এর কাছে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হ্যাঁ মাহমুদ মেম্বার আমার মামা। তিনি বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি। তবে তার সাথে আমার সম্পর্ক ভালো নয়।
তবে মাহমুদ আলী মেম্বার বলেন, যদি কারো যোগ্যতা থাকে তবে সে দলে পদ পাবে, এটাই স্বাভাবিক। এখানে সর্ম্পক কোন বিষয় নয়।