ঈদে মিলাদুন্নবীতে নগরীতে জশনে জুলুস

 

নগর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়তের উদ্যোগে নগরীতে পালিত হয়েছে ঈদ এ মিলাদুন্নবী। মিলাদুন্নবী উপলক্ষে নগরীতে সকালে জশনে জুলুস বের করেন মুসুল্লীরা।

 

রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় নিতাইগঞ্জ নগর ভবনের সামনে থেকে জশনে জুলুস র‌্যালিটি বের হয়। পরে র‌্যালিটি চাষাড়া ও মেট্রো সিনেমা হল হয়ে এক নম্বর রেল গেইট ও টানবাজার হয়ে নিতাইগঞ্জে এসে শেষ হয়। এ সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কয়েক হাজার নবীপ্রেমী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জশনে জুলুসে মিলিত হন। বৈরি আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে বৃষ্টিতে ভিজে তারা জুলুসে অংশগ্রহণ করেন।

শোভাযাত্রা শেষে নগর ভবনের বিপরীত পাশের রাস্তায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জশনে জুলসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী আল আবেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন।

 

 

আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ জাহের শাহ মোজাদ্দেদী আল আবেদী, জশনে জুলুস ঈদ এ মিলাদুন্নবী উদযাপন কমিটির জেলার সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক  শিল্পপতি শাহাদাত হোসেন শ্যামল প্রমুখ।

সভায় বাহাদুর শাহ বলেন, বাংলাদেশে আজ কোথাও শান্তি নাই। সর্বস্তরে বিশৃঙ্খলা, দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও মাদকে সয়লাব এই দেশ। নেতাদের মধ্যে কোন নীতি, নৈতিকতা ও আদর্শের বিন্দুমাত্র নেই। এর একমাত্র কারণ মহানবী (স.) এর মহান আদর্শ থেকে আমরা দূরে সরে আসছি এই জন্য। আমরা যদি তার সেই আদর্শে চলতে পারি তাহলে আমাদের মধ্যে আগের মত নীতি ও নৈতিকতা ফিরে আসবে।

 

জশনে জুলুসে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান পীরজাদা আল্লামা সৈয়দ জাহের শাহ মোজাদ্দেদী, যুব হিজবুর রসূল (সা:) কমিটির সভাপতি পীরজাদা সৈয়দ মাহমুদ শাহ মোজাদ্দেদী, জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন কমিটির নির্বাহী উপদেষ্টা রহমতউল্লাহ সেন্টু প্রমুখ।

 

বক্তব্য শেষে আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ বাহাদুর শাহ। এতে অংশগ্রহন করেন হাজার হাজার মুসুল্লীরা।

 

১২ রবিউল আউয়াল বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন। নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। তাঁর আবির্ভাব এবং ইসলামের শান্তির বাণীর প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com