১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি : ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’

 

আবহাওয়া প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: আবহাওয়া অধিদপ্তর পায়রা বন্দরসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে । পটুয়াখালীর গোটা উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার রাতভর বৃষ্টি না হলেও শনিবার সকাল থেকে মৃদু বাতাসের সঙ্গে হালকা-মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে।

বৃষ্টিপাত এবং গুমোট মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কারণে মানুষের মাঝে এক ধরনের ঝড় আতঙ্ক বিরাজ করছে। উপকূলের এ জনপদে মানুষের সর্বোচ্চ সতর্কতাসহ নিরাপদ আশ্রয় এবং ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। মহাবিপদ সংকেত জারির পরে প্রশাসন এবং সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় ঝুঁকিপূর্ণ এবং বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারী মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় শুক্রবার বিকেলের মধ্যে গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকাররত অধিকাংশ ট্রলার তীরে ফিরে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। পায়রা বন্দরের পণ্য খালাস প্রক্রিয়া শুক্রবার থেকেই বন্ধ রয়েছে। বন্দর ও এর আশপাশের বিভিন্ন চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কাজ বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আগত পর্যটকদের সমুদ্র স্নানসহ ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

 

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শুক্রবার রাতে জরুরি পর্যালোচনা সভা করেছে পটুয়াখালী বিভাগীয় কমিশনার ইয়ামিন আহম্মেদ চৌধুরী। এ সময় সরকারি দপ্তরের সকল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান জানান, পায়রা বন্দর সংলগ্ন উপকূলীয় এ অঞ্চলে আবহাওয়া অধিদপ্তর ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পরে প্রশাসন এবং সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় ঝুঁকিপূর্ণ এবং বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারী মানুষদের সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, পটুয়াখালী জেলায় দুর্যোগাক্রান্তদের আশ্রয় নেওয়ার জন্য ৪০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী জরুরি সহায়তার জন্য ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, ৩০০ মেট্রিকটন চাল, ৩৫০ বান্ডেল ঢেউটিন, ৩৫০০ পিস কম্বল বরাদ্দ করা হয়েছে।

এছাড়া দুর্যোগ প্রস্তুতি, দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার কাজ সহায়তার জন্য সকল সিপিপি সদস্য এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com