বক্তাবলীতে মৎসজীবি দলের নেতা পেলেন আ’লীগের কার্ড!
ফতুল্লা প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: প্রবাসে থেকেও আওয়ামী লীগের সদস্য কার্ড বাগিয়ে নিয়েছেন আব্দুল মান্নান নামের এক বিএনপি কর্মী। বক্তাবলীতে আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা বাদ পড়লেও শুধুমাত্র একজন ইউপি সদস্যের বন্ধু হবার সুবাদে এই কার্ড পেয়েছেন অনায়াসে। ফলে মান্নানের এই কার্ড পাওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছে, চলছে নানা সমালোচনা।
আব্দুল মান্নান চরবয়রাগাদি এলাকার আলী আহাম্মদের ছেলে। মান্নান বক্তাবলী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মৎসজীবি দলের সভাপতি। এবার আওয়ামী লীগের নতুন সদস্য সংগ্রহ তালিকায় তার নাম রয়েছে। প্রবাসে থাকলেও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌছে দেয়া হয়েছে সদস্য কার্ড।
বিএনপি কর্মী মান্নানের পদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৎসজীবি দলের ফতুল্লা থানা কমিটির সদস্য সচিব রাসেল প্রধান। তিনি বলেন, মান্নান আমাদের দলের কর্মী। সে ৯নং ওয়ার্ড মৎসজীবি দলের সভাপতি। রাজনৈতিক কারণে সে প্রবাসে রয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল বেপারী প্রেসবাংলা২৪ডটকম’কে বলেন, আমি জানতাম না মান্নান বিএনপি করে। তবে এর নাম আমি তালিকায় দেই নাই, দিয়েছেন সিদ্দিকুর রহমান। পরে চেয়ারম্যান সাহেব কার্ডটি তাকে দিতে বলায় আমি দিয়ে দিয়েছি।
তবে সিদ্দিকুর রহমান মান্নানের নাম তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেন তার পুত্র ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন বাঁধন। তিনি প্রেসবাংলা২৪ডটকমকে বলেন, মান্নান বিএনপি করেছে এটা আমাদের জানা নেই। কখনো বিএনপির প্রোগ্রামে তাকে দেখি নাই। ও (মান্নান) তো বিদেশে বেশি সময় ছিলো।
তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্যরা মিলেই এই তালিকা করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের হাতে দেয়া হয়। তিনি যাচাই-বাছাই করেই কার্ড দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। এই তালিকা করার দায়িত্ব ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের। তবে যদি বিষয়টি সঠিক হয়, তবে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, আমার এই তালিকার বিষয়ে জানার কথা? এটা ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব। যদি তাদের দায়িত্বে অবহেলা পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে প্রবাসে থাকায় এ বিষয়ে মান্নানের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।