বন্দরে অধ্যক্ষের চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি যুবলীগ নেতা জহিরের

বন্দর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: ‘চাকুরী খেয়ে ফেলবো, অস্তিত্ব বিলিন করে দিবো’-এভাবেই প্রকাশ্যে বন্দর শিশুবাগ বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল রোখসানাকে হুমকি দিলেন পৌর যুবলীগের সভাপতি কাজী জহির ও ডিশ ব্যবসায়ী শ্যামল।
শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে স্কুল প্রাঙ্গণে ওই শিক্ষিকাকে নানা হুমকি-ধামকি দেন। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছে রোকসানা।
এ বিষয়ে রোখসানারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ স্কুলে নির্বাচন না হওয়ার কারণে অ্যাডহক কমিটি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করি। এই স্মারকলিপি দেয়ার জের ধরেই তারা আমাকে একের পর এক হুমকি দিচ্ছে। আমি খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি, আমি যেখানেই যাই তারা আমাকে চোঁখে চোঁখে রাখে এবং কোথায় যাই কার সাথে কথা বলি সব কিছু। স্কুল কমিটির নির্বাচন হবে কি না এটা তাদের বিষয় কিন্তু আমাকে তারা প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছে। স্কুলের যাই কিছু করবো তাদের অনুমতি ছাড়া কোন কাজ করতে পারবো না। কাজী জহির গংদের অনুমতি ছাড়া যদি কিছু করি তাহলে তারা আমার চাকুরী খেয়ে ফেলবে আমাকে হুমকি প্রদান করে, এসব কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন এর আগেও ৩১ অক্টোবর বুধবার রাতে সিরাজউদৌলা মাঠে মেলা চলাকালীন সময় জনসম্মুখে উত্তেজিতভাবে আমার অস্তিত্ব শেষ করে দিবে বলে হুমকি দেয়। এবং বলে আমি যদি এবার স্কুলে যাই তাহলে বুঝবি কি করতে পারি।
এ বিষয়ে ডিস ব্যবসায়ী শ্যামলকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন পৌর যুবলীগের সভাপতি কাজী জহির। তিনি বলেন, প্রিন্সিপাল রোখসানাকে আমি কেন হুকমি দিবো, আপনাদের কাছে যে অভিযোগটি করেছে তা সম্পন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মামলা চলাকালীন সময় এ্যাডহক কমিটি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করেছে এবং সেই রিসিভ কপি আদালতে জমা দিয়েছে এ বিষয় টি জানতে আমরা স্কুলে গিয়েছি।
বন্দর শিশুবাগ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কুতুব উদ্দিন খান এ প্রসঙ্গে বলেন, কাজী জহির তারা অবৈধভাবে কমিটি পরিচালনা করতে চায় যা অন্যায়। আর এ কমিটির মেয়াদ গত মাসের ১৫ তারিখ এ মেয়াদ শেষ হয়েছে। প্রিন্সিপাল নতুন কমিটির জন্য নিয়ম মেনেই ইউএনও’র কাছে আবেদন করেছেন।