উন্নয়নের স্বার্থে দখল ছেড়ে দিতে প্রস্তুত ব্যবসায়ীরা
নগর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: সরকারের জায়গা সরকার নিয়ে যাবে এটাইতো স্বাভাবিক । উন্নয়নের স্বার্থে আমরা দখল ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। এমনটাই বললেন এক থান কাপড় ব্যাবসায়ী।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেললাইনকে দুইলেন করা এবং এর আশেপাশের জায়গা আধুনিকায়নের জন্য গত জুলাই মাসের ২৯ তারিখে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহায়তায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল ১৪,১৫ অক্টোবরের মধ্যে রেললাইনের পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা থান কাপড়ের দোকান ঘর উচ্ছেদ অভিযানে নামবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তারা সেখানে উচ্ছেদ অভিযানে নামেনি । তারপরও সেখানকার ব্যাবসায়ীরা আতঙ্কিত যে কোন সময় উচ্ছেদ অভিযান হতে পারে । তাই তারা সব দোকান খালি করায় ব্যাস্ত হয়ে পরেছে ।
ঐ সময় চাষাঢ়ায় উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে জাতীয় পার্টির নেতা জয়নালের মালিকানাধীন আল-জয়নাল ট্রেড সেন্টারের পশ্চিম দিকের ১০ ফুট দেয়াল ভেকু দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। তারপাশে সরকারি মহিলা কলেজের পূর্ব দিকে গড়ে উঠা বাগানবাড়ী রেস্টুরেন্ট; একটি অস্থায়ী মাদ্রাসাসহ অসংখ্য দোকান গুড়িয়ে দেয়া হয়। তখন ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের ভূমি বিষয়ক কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, চাষাঢ়া থেকে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশনের অভিমুখে চলবে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম।
জানা গেছে, গত ১১ ও ১২ অক্টোবর উকিলপাড়া রেলওয়ে থান কাপড়ের মার্কেটের সামনে উচ্ছেদের আগাম বার্তা দিয়ে মাইকিং করে রেলওয়ে কতৃপক্ষ। দখলদারদের জানানো হয় ১৪ ও ১৫ অক্টোবরের মধ্যে রেলওয়ের জায়গায় গড়ে উঠা থানের মার্কেটের অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেখানে রেলওয়ের পক্ষ্য থেকে কোন উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়নি।
এবিষয়ে কানাইনগরের আক্তার নামে এক থানকাপড় বিক্রেতা বলেন, সরকারের জায়গা সরকার নিয়ে যাবে এটাইতো স্বাভাবিক । উন্নয়নের স্বার্থে আমরা দখল ছেড়ে দিতে প্রস্তুত ।
অন্যদিকে থান কাপড়ের মার্কেট ছাড়াও রেললাইনের পাশে গড়ে উঠা বোস কেবিনের চায়ের দোকান, রসরাজের মতো জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান ছাড়াও যে সমস্ত দোকনপাট আছে তা ভাঙা হতে পারে রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযানে।