মানুষের সেবাই প্রতিটি পুলিশের ব্রত হওয়া উচিৎ: এসপি হারুণ

 

প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: সাধারণ মানুষের আস্থায় ও অপরাধীদের আতঙ্কে পরিণত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত পুলিশ সুপার হারুণ অর রশীদ। নারায়ণগঞ্জে যোগদানের পর থেকে একের পর এক সাহসী কর্মকাণ্ডে তিনি অতীতের সব পুলিশ সুপারকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন। ২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে যোগ দেবার পর থেকেই তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে ৭বার তিনি ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা শহরের প্রত্যেকটি থানায় এমনকি চায়ের দোকানেও এখন আলোচনায় এসপি হারুণ।

 

যদিও পুলিশের এসব অর্জন ও কর্মকাণ্ডকে নিজের কর্তব্য বলে দাবি করেন পুলিশ সুপার হারুণ অর রশীদ। এসপি হারুন  বলেন, ‘সাধারণ মানুষের সেবা করতে পারায় আমি ধন্য। সাধারণ মানুষের সেবাই প্রতিটি পুলিশ অফিসারের ব্রত হওয়া উচিৎ।’

 

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দেয়া একটি স্টাটাসে তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

 

 

সাধারণ মানুষের মতে, তিনি নারায়ণগঞ্জে যোগ দেওয়ার পর পুলিশ প্রসাশনের প্রতি মানুষের আস্থা ও শ্রদ্ধা বেড়েছে। তাদের মতে, নারায়ণগঞ্জে আসার পর থেকে নারায়ণগঞ্জের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। নারায়ণগঞ্জ আতঙ্কের নগরী থেকে শান্তির নগরীতে পরিণত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মুখে মুখে এখন এসপি হারুনের প্রশংসা।

 

এসপি হারুনের সাহসী পদক্ষেপের জন্য জনগণের কাছে তিনি ‘বাংলার সিংহাম’ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। মানুষ এখন স্বত:স্ফূর্ত ভাবে এসপি অফিসে অভিযোগ নিয়ে যান এবং আস্থার সাথে ফিরে আসেন ।

 

এসপি হারুন নারায়ণগঞ্জে আসার পর থেকে তিনি মাদকের বিরুদ্ধে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে তিনি এখন এক আতঙ্কের নাম। এছাড়াও তিনি সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক আলোচিত। তার এ অভিযান থেকে সরকারদলীয় লোকজনও বাদ পড়েনি। নগরীর যানযট নিরসন ও হকার মুক্ত করতে তার ভূমিকা চোখে পরার মতো ।

 

অনেকের ধারণা এসপি হারুন এর এই সমন্মিত উদ্দ্যোগ পুলিশ প্রশাসনের ইমেজ অনেক উর্ধ্বে চলে এসেছে । এসপি হারুন আসার আগে সাধারণ মানুষ নারায়ণগঞ্জ পুলিশকে রাজনৈতিক নেতাদের ‘গোলাম’ মনে করতেন। পুলিশের এই হারানো ইমেজ রক্ষার্থে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

 

 

হাওর অঞ্চল কিশোরগঞ্জের এই কৃতিসন্তান নারায়ণগঞ্জের দায়িত্ব নেবার আগে তিনি ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তৃতীয় দফায় গাজীপুর সদর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়ায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই বছরের ২১ এপ্রিল এসপি হারুন অর রশীদকে গাজীপুর থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। নির্বাচন সম্পূর্ণ হওয়ার পর প্রত্যাহারের আদেশ তুলে নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে ওই বছর ৩ মে গাজীপুরের পুলিশ সুপার পদে হিসেবে পুনর্বহাল করে।

 

এছাড়া হারুন আগে ঢাকা মহানগর পুলিশে ছিলেন। তখন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার ঘটনায় আলোচিত হয়েছিলেন তিনি। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে হারুনকে গাজীপুর থেকে সরানোর দাবি তুলেছিল বিএনপি। যদিও তাতে কোনো লাভ হয়নি।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com