সৃজন হাউজিং’র মালিকের স্ত্রী ও ম্যানেজার জেলে

 

আদালত প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: সৃজন হাউজিংয়ের চেয়ারম্যান শিউলি তারেক ও একই প্রতিষ্ঠানের জিএম আফরিন আক্তারকে একটি প্রতারণা মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত।

 

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলমের আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

 

এর আগে তারা শহরের চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকার লুৎফর রহমান খানের ছেলে নান্নু খানের দায়ের করা প্রতারণা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

 

জেল হাজতে প্রেরিত শিউলী তারেক সৃজন হাউজিংয়ের এমডি দেলপাড়া টাগারপাড় এলাকার মৃত এমকে শোয়েবের ছেলে শামীম তারেকের স্ত্রী এবং অপরজন ওই প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার আফরিন আক্তার।

 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল হাই। তিনি জানান, চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা একটি প্রতারণা মামলায় শিউলী তারেক ও আফরিন আক্তার আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

 

আব্দুল হাই আরও জানান, এই মামলায় সৃজন হাউজিংয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শামীম তারেক ও ডিরেক্টর আবুল হোসেন নাঈম পলাতক রয়েছেন।

এদিকে এ ঘটনার তথ্য ও ছবি তুলতে গেলে গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা ও হুমকি প্রদান করেছেন আসামি পক্ষে থাকা বিশ থেকে পঁচিশ জনের একটি দল। এ সময় তারা দুজন সংবাদকর্মীর উপর হাতও তুলেন।

 

এ ঘটনা সম্পর্কে সৃজন হাউজিং লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও মনিরুল আলম সেন্টু অনুসারী বিএনপির কর্মী শামীম তারেক বলেন, ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। ওরা বুঝতে না পেরে ঘটনাটি ঘটিয়ে ফেলেছে। ভাই, নিউজটা কইরেন না।

 

অপরদিকে মামলা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, মামলাটি পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট। যে পাঁচজনের কথা ওখানে বলা হয়েছে তারা কেউ টাকা ফেরৎ চায়নি। কেবল যিনি মামলা করেছেন তিনি টাকা চেয়েছেন। আমি তাকে পর্যায়ক্রমে টাকা ফেরৎ দিবো বলেছিলাম। কিন্তু সেটা উনি মানেনি।

 

এদিকে অভিযোগ উঠেছে জমি নেই, তারপরও ভুয়া জমি দেখিয়ে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সৃজন হাউজিংয়ের ওই প্রতারক চক্রটি। তাদের মধ্যে পাঁচজন হলেন বাদীসহ সুলতানা মাঝি, শাহ জালাল গোলদার, আক্কাস এবং সাইফুল ইসলাম। প্রতারণার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে ২৮ লাখ টাকারও উপরে হাতিয়ে নিয়েছে ওই চক্রটি।

 

এ প্রসঙ্গে শামীম তারেক বলেন, আমাদের জমি আছে। সরেজমিনে তা দেখতে চাইলে দেখাতে পারি। তারা যা বলছে তা ভুল ও মিথ্যা।

 

প্রসঙ্গত, ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর জাল করে মোশারফ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ শামীম তারেককে গ্রেফতার করেছিলো। তার বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতারও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com