বৃষ্টিবিঘ্নিত ঈদ উৎসবে ভাটা, গরমে প্রশান্তি

 

প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: দু’দিন ধরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। ঈদের ছুটিতে কোথাও যেন ঘুরতে যাবার জো নেই। ফলে বৃষ্টির কারণে তরুণ-তরুণী ও শিশুদের ঈদের আনন্দ প্রায় মাটি। নগরীর ও আশপাশের বিনোদন কেন্দ্রগুলোও অনেকটা ফাঁকা। তবে কয়েকদিনের তীব্র গরমে কিছুটা প্রশান্তি এনে দিয়েছে বৃষ্টি। অন্যদিকে কুরবারীন বর্জ্য পরিস্কারেও বৃষ্টি ভাল কাজে এসেছে।

 

নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্র সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে ফতুল্লার পঞ্চবটি এ্যাডভেঞ্চারল্যান্ড পার্কে গিয়ে কিছু বিনোদনপ্রেমীর দেখা মিলেছে।

 

ওই পার্কে ঘুরতে আসা তরুণ শাওন হাসনাত জানান, পুরো পরিবার নিয়ে পার্কে ঘুরতে আসার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে পরিবারের সিনিয়র সদস্যরা আসেননি। দীর্ঘক্ষণ ঘরে বসে থাকতে ভাল না লাগায় বেরিয়ে পড়লাম। কারণ ঈদের ছুটি তো এভাবে যেতে দেয়া যায় না।

 

শুধু নারায়ণগঞ্জেই নয়, দেশের আরো বেশ কয়েকটি বড় বিনোদন কেন্দ্রেরও এই অবস্থা। ঈদুল আজহার ছুটিতে প্রতিবারই পর্যটকদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। তবে এবার প্রত্যাশামাফিক পর্যটক আসেননি এই সৈকতে। গত দুদিনের বৈরী আবহাওয়ার কারণে পর্যটকদের আনাগোনা কমে গেছে, এমনটাই মনে করছেন পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা।

 

মঙ্গলবার কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকতে নেই খুব বেশি পর্যটক। সৈকত ও আশপাশের ব্যবসায়ীরা দোকান সাজিয়ে বসলেও ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই হাতে গোনা। ঈদের দিনের মতো আজ দ্বিতীয় দিনেও আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় হতাশ বিক্রেতারা।

 

ঝিনুক ব্যবসায়ী আলম ও গফুর বলেন, ‘ভেবেছিলাম ঈদের ছুটিতে পর্যটক আসবেন, ভালো বিক্রি হবে। কিন্তু এবার বিক্রি এতটাই কম যে দোকান খুলে বসে থাকার খরচও ওঠানো যাচ্ছে না। গত বছর কোরবানির ঈদেও দৈনিক ২০-২৫ হাজার টাকার ব্যবসা করেছিলাম। এবার ব্যবসার অবস্থা একেবারেই খারাপ।’

 

কুয়াকাটা রাখাইন মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিজাম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘বছরের দুটি ঈদ এবং শীত মৌসুমে পর্যটকদের আগমনের ওপর কুয়াকাটার পর্যটননির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য নির্ভর করে। এসব উৎসবেও যদি পর্যটক না আসেন, তখন ব্যবসায়ীদের হতাশ হওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com